পানি নামলেই শুরু হবে হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ

সুনামগঞ্জের একটি হাওরসুনামগঞ্জের হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের লক্ষ্যে জরিপকাজ শেষ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। পাউবোর ২৬টি টেকনিক্যাল টিম শনিবার (৭ ডিসেম্বর) এ জরিপ কাজ শেষ করে। হাওর থেকে পানি নামলেই বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হবে। এর আগে ১৪ নভেম্বর থেকে বাঁধ নির্মাণের ডিজাইন ও বরাদ্দ নিশ্চিত করতে জরিপ শুরু করা হয়। জামালগঞ্জ উপজেলায় কর্মরত পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী রেজাউল কবির এ তথ্য জানান।


জানা যায়, কালনার হাওর, করচার হাওর, জোয়ালভাঙ্গার হাওর, দেখার হাওর, হালির হাওর, সোনামোড়ল হাওর, ধানকুনিয়ার হাওর, চন্দ্রসোনার থাল হাওর, মাতিয়ান হাওর, শনির হাওর, গুরমার হাওর, মহালিয়ার হাওর, পাকনার হাওর, কালিয়াকোটা হাওর, নলুয়ার হাওর, চাপতির হাওরসহ ছোট বড় ৪২টি হাওরে এক হাজার ৩৪ কিলোমিটার বাঁধের প্রিওয়ার্ক জরিপের কাজ শেষ হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, হাওরে গতবার নির্মিত ফসল রক্ষা বাঁধের সবশেষ অবস্থা নির্ণয় এবং নতুন করে বাঁধ নির্মাণের জন্য জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে। এতে বাঁধের বর্তমান উচ্চতা, প্রস্থ, পানির গভীরতাসহ বিভিন্ন কারিগরি তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। সংশোধিত কাবিটা নীতিমালা অনুযায়ী হাওর পাড়ের কৃষকদের মতামত নিয়ে গণশুনানির মাধ্যমে পিআইসি (প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি) ৭ সদস্য বিশিষ্ট প্রকল্প কমিটি গঠন করে। বাঁধের কাছাকাছি এলাকার কৃষকদের নিয়ে গঠিত এই কমিটির সদস্যদের নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করবে।
এ বছর আগাম বন্যার হাত থেকে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের জন্য ৬৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার।
জামালগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা পাল বলেন, ‘হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের প্রথম ধাপের কাজ জরিপ। বাঁধ নির্মাণের আগে সম্ভাব্যতা যাচাই, অপ্রয়োজনীয় বাঁধ নির্মাণ থেকে বিরত থাকা এবং সঠিক মেজারমেন্ট করতে এটি করা হয়। যেন পরে কাজের গুণগতমান ও বরাদ্দ নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে না পারে। এ বছর যথাসময়ে আমরা বাঁধ নিমাণের কাজ শুরু করবো এবং শেষ করবো।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী রেজাউল কবির বলেন, `ফসল রক্ষা বাঁধের সবশেষ অবস্থার ডিজাইন প্রণয়ণে এই সমীক্ষা করা হচ্ছে। সমীক্ষার কাজ শেষ, এখন হাওরের পানি কমলে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।’