তিনদিন ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে, বাড়ছে শীতের তীব্রতা

তাপমাত্রা কম থাকায় কুয়াশা পড়েছেতিনদিন ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে তাপমাত্রা ছিল ১১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোরে ঘনকুয়াশার চাদরে মোড়া থাকছে। আর সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় মৃদু বাতাস। ফলে মৌলভীবাজারের সব উপজেলায় শীতের তীব্রতা বাড়ছে। অনেককে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছেন।

শ্রীমঙ্গলের আবহাওয়াবিদ রুহুল বলেন,  বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) তাপমাত্রা ছিলে ১১ ডিগ্রি। আর শনিবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শীতের তীব্রতা বাড়ায় শীতবস্ত্রের দোকানগুলোয় ভিড় বাড়ছে।নিম্ন আয়ের লোকজনের ভরসা ফুটপাতের পুরনো কাপড়ের ওপর। এরই মধ্যে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পর্যায়ে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়েছে।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও)আছাদুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দুইটি উপজেলার চা শ্রমিক ও গরিব দুস্থ পরিবারের মাঝে ৯ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরও  কম্বল বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।’

তাপমাত্রা কম থাকায় কুয়াশা পড়েছেশ্রীমঙ্গলের বাসিন্দা রোকেয়া বেগম বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। শীতবস্ত্রের যে দাম আমাদের পক্ষে শীতের নতুন কাপড় কেনা সম্ভব নয়। আমরা প্রতি বছর খোলা বাজার থেকে শীতবস্ত্র কিনে ঠাণ্ডা নিবারণ করি।’ একই কথা বলেন রওশন আরা,সাথী বেগম,রাখি বেগম।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর ড.সুব্রত সিংহ বলেন, ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে। প্রতিদিন ২০-২৫টি শিশু ও বয়স্করা সর্দি, জ্বর, ও কাশি নিয়ে হাসপাতালে আসছেন চিকিৎসা নিতে।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার নজরুল ইসলাম ও কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশেকুল হক বলেন, শীতার্ত, দুস্থ, অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছেন।

শ্রীমঙ্গল হাইল হাওরের বড় গাঙিনা সম্পদ ব্যবস্থাপনা সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মিন্নত আলী জানান, শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাইক্কা বিলে কিছু কিছু করে অতিথি পাখি আসতে শুরু করেছে। পাখি দেখতে দর্শনার্থীরাও আসছেন। শুক্র, শনিবারসহ ছুটির দিনগুলোয় পর্যটক,  দর্শনার্থীদের সংখ্যা বেশি থাকে।