মৌলভীবাজারে গাছ চোররা উজাড় করছে সংরক্ষিত বনাঞ্চল

মৌলভীবাজার কামারছড়া বনবিটে গাছ চুরিসিলেট বন বিভাগের অধীনে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রাজকান্দি রেঞ্জের কামারছড়া বনবিটে সংরক্ষিত বনে গাছ চুরি থামছে না। ফলে উজাড় হচ্ছে সংরিক্ষত বনাঞ্চল। অভিযোগ রয়েছে দায়িত্বে থাকা বন কর্মীদের সহায়তায় এসব গাছ কাটছে সংঘবদ্ধ চোরচক্র। কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করলেও সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে কেটে নেওয়া অর্ধশতাধিক গাছের মাথা। 

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) কামারছড়া বনবিটের সংরক্ষিত বন ও সামাজিক বনায়ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গভীর জঙ্গলে টিলায় টিলায় চলছে গাছ কাটা উৎসব। বড় গাছ কেটে ভর্তি করা হচ্ছে ট্রাক। কালিছালি এলাকা থেকে আকাশ মনি, বেলজিয়ামসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে নেওয়া হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বনের দায়িত্বে যারা আছেন তারাই গাছ পাচার করছে। গাছ পাচারের বিষয়ে বন বিট অফিসারকে জানিয়ে কোনও কাজ হয় না। উল্টো হয়রানির শিকার হতে হয়। এ ভয়ে এখন কেউ প্রতিবাদ বা কথা বলতে রাজি না।

কেটে নেওয়া হয়েছে গাছবিষয়টি অস্বীকার করে কামারছড়া বনের বিট কর্মকর্তা মীর বজলুর রহমান বলেন, ‘বনে বর্তমানে কোনও গাছ কাটা হচ্ছে না। আগে দু একটা গাছ কেটেছে চোররা। এব্যাপারে থানায় মামলাও রয়েছে। সামাজিক বনায়নের গাছ কাটার বিষয়ে আমি কিছু শুনিনি।’

কমলগঞ্জ উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম শামীম বলেন, ‘কামারছড়া বনবিটের অস্তিত্ব প্রায় নেই। তারপরও যদি গাছ চুরি বন্ধ না হয়, তাহলে পরিবেশ মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে।’

সিলেট বন বিভাগের রাজকান্দি বন রেঞ্জ কর্মকর্তা আবু তাহের বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গাছ চুরি বন্ধে আমরা তৎপর। তারপরও বিচ্ছিন্নভাবে সংরক্ষিত বন থেকে সম্প্রতি দু একটা গাছ চোরচক্র কেটে নিয়েছে। সামাজিক বনায়নের বেশ কয়েকটি গাছ কাটা হয়েছে, সে বিষয়ে মামলাও হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট বন থেকে গাছ পাচারে বনবিট কর্মকর্তারা জড়িত থাকার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে যে কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’