‘ফেসবুক স্ট্যাটাসের জেরে’ সহিংসতা

শাল্লার সেই ঝুমন দাসের বিরুদ্ধে মামলা

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে যে কথিত ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুরের ঘটনার অভিযোগ উঠেছিল, সেই স্ট্যাটাসদাতা ঝুমন দাশ আপনের (২৮) বিরুদ্ধে শাল্লা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।

মামলার বাদী হয়েছেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল করিম। শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ওই মামলায় ঝুমন দাশকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এর আগে ১৬ মার্চ রাতে আটকের পর তাকে ১৭ মার্চ ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত সেদিন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তিনি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

আরও পড়ুন-

শুধু কি ফেসবুক পোস্টের জেরেই হিন্দু পাড়ায় হামলা?

শাল্লায় হামলা মামলা: প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার ৩৩

ধর্মীয় নেতারা বললেন, ‘রিসালাত সম্মেলনের সঙ্গে শাল্লার ঘটনার যোগসূত্র নেই’

শাল্লায় হামলার ঘটনায় দুই মামলা

শাল্লার হিন্দু পল্লীতে হামলা: স্বাধীনের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন

ওসি নাজমুল হক জানান, ঝুমন দাশের বিরুদ্ধে সোমবার (২২ মার্চ) রাতে থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। এই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, নোয়াগাও গ্রামের যুবক ঝুমন দাসের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মামোনুল হককে নিয়ে স্ট্যাটাস দেওয়াকে কেন্দ্র করে গত ১৭ মার্চ সকালে সেখানকার হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা চালানো হয়। হেফাজত সমর্থকরা এই হামলার চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। এতে অন্তত ৮৯টি পরিবারের বসতঘর ও সাতটি পারিবারিক মন্দির ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনায় শাল্লা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি ও হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ বকুল বাদী হয়ে শাল্লা থানা আরও একটি মামলা করেন। গ্রামের মানুষের নিরাপত্তার জন্য নোয়াগাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে র‌্যাব‌ও পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হয়।

মামলার প্রধান আসামি দিরাই উপজেলার সরমঙ্গল ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম স্বাধীনকে ২০ মার্চ ভোরে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার একটি গ্রাম থেকে আটক করে পিবিআই।