ধর্মপাশায় ছাত্রলীগ নেতাকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় মামলা, ওসিসহ ৩ জন প্রত্যাহার

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় হেফাজতের তাণ্ডবের ছবি ফেসবুকে শেয়ার দেওয়ার ঘটনায় হাতকড়া পরিয়ে ঢাবি ছাত্রলীগ নেতাকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক উপকমিটির সম্পাদক ও এফ রহমান হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজল খান বাদী হয়ে ২৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৩০ জনকে আসামি করে ধর্মপাশা থানায় মামলা করেছেন। এ ঘটনায় ধর্মপাশা থানার ওসি দেলোয়ার হোসেনসহ দুই এসআইকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৬ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক উপকমিটির সম্পাদক ও এফ রহমান হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজল খানকে ধর্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে লাঞ্ছিত করা হয়। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের চাচা আবুল হাসেম আলমের ছেলে আল মোজাহিদ তার সমর্থকদের নিয়ে আফজল খানকে লাঞ্ছিত করেন।

এসময় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ছাত্রলীগ নেতাকে হাতকড়া পরিয়ে জোরপূর্বক ক্ষমা চাওয়ায়। ওই ছাত্রের বাবাকেও লাঞ্ছিত করা হয়। এই খবর পেয়ে ঢাবি ছাত্রলীগ ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের শাস্তি দাবি করে।

পরে বুধবার (৭ এপ্রিল) বিকালে আবুল হাসেমকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। এ ঘটনার অন্যতম হোতা রফিক নামের আরেকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ধর্মপাশা থানার সহকারী পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার বলেন, ছাত্রলীগ নেতা লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় দুই জন গ্রেফতার হয়েছেন। বাকিদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।