হাওরে ধান কাটা শ্রমিকের কোনও সংকট নেই: সিলেট বিভাগীয় কমিশনার

সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মো. মশিউর রহমান বলেছেন, গতবছরের করোনাকালীন ধান কাটার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এ বছর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। হাওরে ধান কাটার শ্রমিকের কোনও সংকট নেই। হাওরে ধান কাটার জন্য সরকার আগে থেকেই বড় ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল।

সোমবার বিকালে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার সেলিমগঞ্জ বাজারের পাশে পাকনার হাওরে উচ্চ ফলনশীল ধান কাটার উদ্বোধন করার পর দেওয়া ব্ক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধান অতিথির ব্ক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, হাওরে কী পরিমাণ ধান চাষ করা হয়েছে, কী পরিমাণ শ্রমিক ও মেশিন লাগবে তার ওপর ভিত্তি করে ধানকাটার আগাম পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল। হাওরের ধান কাটার জন্য স্থানীয় শ্রমিক কত রয়েছে ও বাইরের জেলা থেকে কী পরিমাণ শ্রমিক আনতে হবে তা আগেই নির্ধারণ করা ছিল। এজন্য আজ পর্যন্ত হাওরের ধান কাটতে কোনও সমস্যা হচ্ছে না।

তিনি জানান, ২৯৩টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও ১১২টি রিপার দিয়ে হাওরগুলোতে ধান কাটা হচ্ছে। এছাড়াও স্থানীয় ও বাইরের জেলার ২ লাখ ১৮ হাজার শ্রমিক গভীর হাওর এলাকায় ধান কাটছেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পরিচালক কৃষি দিলীপ কুমার অধিকারী, জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক রাশেদ ইকবাল, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক মো. ফরিদুল হাসান, সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান, জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল আল আজাদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত দেব, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম জিলানী আফিন্দি রাজু, বীনা রানী দাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. মিছবাহ উদ্দিনসহ স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

চলতি বোরো মওসুমে জেলার ছোটবড় ৫২টি হাওরে ২ লাখ ২৩ হাজার ৩৩০ হেক্টর জমিতে স্থানীয়, হাইব্রিড ও উচ্চ ফলনশীল জাতের বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। আজ পর্যন্ত ৫০ হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে।