স্ত্রী ও দুই সন্তানকে গলা কেটে হত্যা করেন হিফজুর

সিলেটের গোয়াইনঘাটে দুই সন্তানসহ স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় হিফজুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হিফজুর একাই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শনিবার (১৯ জুন) দুপুরে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।

গ্রেফতারের কারণ জানতে চাইলে বিকালে সিলেটের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বলেন, পুলিশ তদন্ত করে নিশ্চিত হয়েছে হত্যাকাণ্ডটি হিফজুর একাই ঘটিয়েছেন। ঘটনার দিন তার ঘরে কেউ প্রবেশ করেনি। কারণ দরজা ভেতর থেকেই বন্ধ ছিল। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত যে, বঁটি উদ্ধার করা হয়েছে সেটি তার ঘরের। ওই বঁটি দিয়ে কুপিয়ে দুই সন্তান ও স্ত্রীকে হত্যা করেছেন তিনি।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, স্থানীয়রা পুলিশকে জানান, বছরের কোনও একদিন হিফজুর হঠাৎ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে যান। এটি তার মানসিক রোগ। এই রোগের চিকিৎসা নেননি তিনি। তবে কেন হিফজুর দুই সন্তান ও স্ত্রীকে হত্যা করেছেন তা রবিবার (২০ জুন) সকালে আদালতে জানাবেন। একই সঙ্গে আদালতে তার রিমান্ড আবেদন করবে পুলিশ।

সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর ও মিডিয়া) মো. লুৎফর রহমান বলেন বলেন, চিকিৎসাধীন হিফজুর বর্তমানে সুস্থ। রবিবার তাকে ছাড়পত্র দেবেন চিকিৎসকরা। ছাড়পত্র হাতে পাওয়ার পর তাকে আদালতে তোলা হবে। মামলার তদন্তের স্বার্থে তার রিমান্ড চাইবে পুলিশ।

গত বুধবার (১৬ জুন) সকালে গোয়াইনঘাট উপজেলার বিন্নাকান্দি গ্রাম থেকে মা ও দুই শিশু সন্তানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তারা হলেন বিন্নাকান্দি গ্রামের হিফজুর রহমানের স্ত্রী আলিমা বেগম (৩০), তার ছেলে মিজানুর রহমান (১০) ও মেয়ে তানিশা (৩)। এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় হিফজুর রহমানকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হত্যাকাণ্ডের পরই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান সিলেটের ডিআইজিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটসহ পুলিশের একাধিক ইউনিট ঘটনার তদন্তে মাঠে নামেন। ওই দিন পুলিশ বলেছিল, প্রাথমিকভাবে এ ঘটনায় পারিবারিক বিরোধ দেখছে।

গত মঙ্গলবার (১৫ জুন) দিবাগত রাতের কোনও একসময় হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। পরে তাদের লাশ উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত করা হয়। এ ঘটনায় বুধবার রাতে নিহত আলিমার বাবা আয়ুব আলী বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন।