এসআইকে পিটিয়ে আহত, যুবলীগ নেতা আটক

সুনামগঞ্জের শাল্লা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহ আলীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় শাল্লা উপজেলা যুবলীগের এক নেতাসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে। সোমবার (১২ জুলাই) মধ্যরাতে থানা সংলগ্ন রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, থানা থেকে বের হয়ে বাসায় যাওয়ার পথে এসআই শাহ আলীর ওপর যুবলীগ নেতা অরিন্দম চৌধুরী অপু ও তার সঙ্গীয় ৭/৮ জন লোক দা, লোহার রড লোহার পাইপ নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় শাহ আলী গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে পড়ে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজনসহ থানার পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

পুলিশ সদস্যরা আহত শাহ আলীকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। রাতেই অভিযান চালিয়ে উপজেলার নাইন্দা গ্রামের অনিলবরন চৌধুরীর ছেলে অরিন্দম চৌধুরী অপু (৩৮), ঘুঙ্গিয়ারগাও গ্রামের নারুগোপাল রায়ের ছেলে রতন রায়কে (২৮) আটক করে পুলিশ।

এসআই শাহ আলী বলেন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অনুপস্থিত থাকায় আমি সারাদিন অফিসিয়াল কাজ সেরে রাত প্রায় সাড়ে ১২টায় থানা থেকে বের হয়ে বাসায় যাওয়ার সময় অপু ও তার সঙ্গীরা দা, লোহার রড, পাইপ দিয়ে আমার ওপর হামলা চালায়।

হামলার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ধারণা, কয়েকদিন আগে অপু তার ফেসবুকে বিতর্কিত ও উসকানিমূলক একটি স্ট্যাটাস দিলে এলাকার মুসলিমদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে বিষয়টি আমরা মীমাংসা করে দিলেও অপুর ভাই অমিতাভ চৌধুরী রাহুল এলাকার ১২-১৩ জনকে বিবাদী করে শাল্লা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডির পর থেকেই অপু আমাকে জিডিতে দেওয়া আসামিদের গ্রেফতার করার জন্য আমাকে চাপ দিয়ে আসছে। কিন্তু আদালতের নির্দেশ না থাকায় আমি আসামি গ্রেফতার করিনি। তাই ধারণা করছি, এ কারণে অপু আমার প্রতি ক্ষিপ্ত ছিল।

শাল্লা থানার ওসি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ সদস্যকে হামলার ঘটনায় আমরা দুইজনকে আটক করেছি। আহত এসআই শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ বিষয়ে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ওসি অনুপস্থিত ছিলেন তা সত্যি। আক্রমণের শিকার এসআই শাহ আলী ওইদিন দায়িত্বে ছিলেন। বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে দেখছি এবং আসামিদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।