হাওরে নৌকা ভ্রমণে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার নববধূ

হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার টিক্কাপুর হাওরে নৌকা ভ্রমণে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নববধূ। এসময় ধর্ষণকারীদের হামলায় তার স্বামী ও তার বন্ধু গুরুতর আহত হন। এছাড়া ধর্ষণের ঘটনা ভিডিও ধারণ করে ঘটনা না জানাতে হুমকি দেন ধর্ষণকারীরা।  বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে এমনই বর্ণনা দেন যৌন নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ ও তার স্বামী।

গৃহবধূর স্বামী জানান, প্রায় মাসখানেক আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের একদিনের মাথায় তিনি কাজের সুবাদে ঢাকায় চলে যান। কয়েকদিন আগে তিনি বাড়ি ফিরেন। এরপর গত ২৫ আগস্ট দুপুরে তিনি স্ত্রী ও বন্ধুকে নিয়ে হাওরে নৌকা ভ্রমণে বের হন। এক পর্যায়ে মোড়াকড়ি গ্রামের মুছা মিয়া, সুজাত মিয়া, হৃদয় মিয়া, ইব্রাহিম মিয়া ও জুয়েল মিয়াসহ ৫-৬ জন যুবক নৌকাযোগে এসে তাদের নৌকায় উঠে। কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা তাকে ও তার বন্ধুকে মারধর করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তার স্ত্রীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে।

তিনি আরও বলেন, ধর্ষণকারীরা ঘটনার ভিডিও ধারণ করে। পরে তারা ঘটনাটি কাউকে না জানাতে হুমকি দিয়ে চলে যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে ইন্টারনেটে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ারও হুমকি দেয় তারা। 

তিনি বলেন, বাড়িতে আসার পর বিষয়টি লোকলজ্জার ভয়ে ও ধর্ষণকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় কাউকে জানাইনি। তবে পরে ভিডিওটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মানষিকভাবে ভেঙে পড়ি। বুধবার রাতে স্ত্রীকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. নাদিরা বেগম  বলেন, এক নারী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে সে ধর্ষণের শিকার হয়েছে কিনা তা পরীক্ষার নিরীক্ষা না করে বোঝা যাবে না। পরীক্ষার পরই বিষয়টি সম্পর্কে জানা যাবে বলে জানান তিনি।

লাখাই থানার (ওসি) মো. সাইদুর রহমান বলেন, বিষয়টি শুনেছি। ভিকটিমের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা এখনও লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।