সিলেট-৩ উপনির্বাচন: ভোট কেন্দ্র ফাঁকা

সিলেট-৩ আসনে আগামী দুই বছরের জন্য কে হচ্ছেন সংসদ সদস্য এই জল্পনা-কল্পনার মধ্যে চলছে ভোট গ্রহণ। শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ভোট কেন্দ্রে কিছু সংখ্যক ভোটার দেখা গেছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমে যায় ভোটারদের উপস্থিতি। ভোট কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারির মধ্য দিয়ে শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় এ ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

এদিকে, শনিবার  দুপুর ১২টার দিকে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ক্রোরী গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তেলিবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্বভাগ সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হাজী মোহাম্মদ রাজা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে ভোটারের দেখা মেলেনি। তবে কেন্দ্রগুলোতে কয়েকজন নারী ভোটারকে দেখা যায়। তেলিবাজার কেন্দ্রে ভোটার মণি ইসলাম বলেন, ‘পুরুষরা কাজে চলে গেছেন ভোট না দিয়েই। তাই বোনকে নিয়ে ভোট দিতে এসেছি।’

সিলেট-৩ আসনে উপ-নির্বাচনে চার জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন– আওয়ামী লীগের প্রার্থী যুক্তরাজ্য প্রবাসী হাবিবুর রহমান হাবিব (নৌকা), জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক (লাঙ্গল), বিএনপির বহিষ্কৃত প্রার্থী শফি আহমদ চৌধুরী (মোটরগাড়ি) এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী যুক্তরাজ্য প্রবাসী জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া (ডাব)।

স্বল্পসংখ্যক নারী ভোটারের উপস্থিতি দেখা গেছেজানা যায়, সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৩ আসনটিতে মোট ভোটার তিন লাখ ৫২ হাজার ও ভোটকেন্দ্র ১৪৯টি। ভোটকেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এসব কেন্দ্রে পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের ১৭ থেকে ১৮ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। আর গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে নিয়োজিত রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৮ থেকে ১৯ জন করে সদস্য। এ ছাড়া পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে গঠিত ২১টি মোবাইল ফোর্স, ১২টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, র‌্যাবের ১২টি টহল টিম ও ১২ প্লাটুন বিজিবি নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। যেকোনও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা মোকাবিলায় বিজিবির সঙ্গে ২১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।

গত ১১ মার্চ করোনায় সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে আসনটি শূন্য হয়। তফসিল অনুযায়ী গত ২৮ জুলাই এই আসনের উপনির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এর দুই দিন আগে ভোট গ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করেন আদালত। পরবর্তী সময়ে নির্বাচন কমিশন ৪ সেপ্টেম্বর ভোট গ্রহণের দিন নির্ধারণ করে।