ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী বদলালেও বিতর্ক পিছু ছাড়েনি

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার জলসুখা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী বদল করা হয়েছে। শনিবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় একাধিক মামলার আসামি মো. শাহজাহান মিয়াকে বাদ দিয়ে মনোনয়ন দেওয়া হয় রোখসানা আক্তার শিখাকে। তবে তাকে নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অভিযোগ আছে তিনি বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে মনোনয়ন পেয়েছেন।

দলীয় সূত্র জানায়, চেয়ারম্যানপ্রার্থী মো. শাহজাহান মিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। নির্বাচনে তিনি প্রথমে দলীয় মনোনয়ন পান। তবে এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার পর শনিবার তার মনোনয়ন বাতিল করে রোখসানা আক্তার শিখাকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়।

শাহজাহান মিয়ার ছেলে অনিক জানান, তার বাবা সাবেক ইউপি মেম্বার মো. শাহজাহান মিয়ার মনোনয়ন বাতিলের খবর তারা পেয়েছেন। এ বিষয়ে অনুসারীদের বেঠকের পর সিদ্ধান্ত নেবেন তারা। 

মনোনয়নের বিষয়ে জলসুখা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. সিরাজ মিয়া বলেন, মো. শাহজাহান মিয়ার মনোনয়ন বাতিল করে রোখসানা আক্তার শিখাকে মনোনয়ন দেওয়ার খবর পেয়েছি। এখন নৌকা যার আমরাও তার পক্ষেই কাজ করবো। তবে জয়ের বিষয়ে কতটুকু করা সম্ভব তা এখনই অগ্রিম বলা সম্ভব নয়।

রোখসানা আক্তার শিখার বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে আসার বিষয়ে তিনি বলেন, কয়েক বছর আগে বিএনপির সমর্থন নিয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয়েছিলেন শিখা। পরবর্তীতে তিনি আওয়ামী লীগের সঙ্গেই আছেন।

এ বিষয়ে মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, বর্তমানে আমার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা রয়েছে। তবে কোনোটিরই গ্রেফতারি পরোয়ানা নেই। অস্ত্র মামলা ছিল সাজানো নাটক। এ মামলা থেকে আমি অব্যাহতি পেয়েছি। আর ডাকাতি আমি কেন করতে যাবো? আমার বিলের (জলমহাল) ব্যবসা আছে। এখানেতো অনেকেই কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। আমার বিরুদ্ধে মামলাগুলো ষড়যন্ত্র। গ্রাম্য দ্বন্দ্বের শিকার।

বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে আসার বিষয়ে জানতে একাধিকবার রোখসানা আক্তার শিখাকে কল করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।