ব্লগার অনন্ত হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পেছালো

আদালতে সাক্ষী না আসায় আবারও পিছিয়েছে ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ। আগামী ২২ নভেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নতুন করে দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত। সোমবার (৮ নভেম্বর) সাক্ষ্যগ্রহণ না হওয়ায় সিলেট সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল আমিন বিপ্লব পরবর্তী তারিখ ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এমাদ উল্লাহ শাহীন। তিনি বলেন, ‘মামলার ২৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। তবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুজন সাক্ষী গত কয়েকটি নির্ধারিত দিনে সাক্ষ্য দিতে আদালত হাজির না হওয়া সাক্ষ্যগ্রহণে বিলম্ব হচ্ছে। তারা হলেন– মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক আরমান আলী এবং আইটি ফরেনসিক বিভাগের উপপরিদর্শক মাসুদ সিদ্দিকী।

জানা যায়, ২০১৫ সালের ১২ মে সকালে কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার পথে সিলেট নগরীর সুবিদবাজার নুরানি আবাসিক এলাকায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে অনন্তকে কুপিয়ে হত্যা করে অজ্ঞাত কয়েকজন। পরে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিম এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয়। সেই রাতেই সিলেটের বিমানবন্দর থানায় অজ্ঞাত হামলাকারীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন অনন্ত বিজয় দাশের ভাই রত্নেশ্বর দাশ। মামলার তদন্তের দায়িত্ব প্রাথমিকভাবে থানা পুলিশের কাছে ছিল। পরে পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশে অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে মামলাটি হস্তান্তর করা হয়।

মামলার তদন্ত শেষে পরিদর্শক আরমান আলী ২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর আদালতে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করলে আদালত পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন। এরপর পুনরায় তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৯ মে সম্পূরক অভিযোগপত্র দিলে আদালত তা গ্রহণ করেন।

এ অভিযোগপত্রে অনন্ত বিজয় দাশ হত্যায় অভিযুক্ত করা হয় শফিউর রহমান ফারাবী, মান্নান ইয়াহইয়া ওরফে মান্নান রাহী, আবুল খায়ের রশীদ আহমেদ, আবুল হোসেন ওরফে আবুল হুসাইন, হারুনুর রশীদ এবং ফয়সল আহমেদকে।

তাদের মধ্যে ফারাবী এবং আবুল খায়ের জেলে আছেন। অভিযুক্ত মান্নান রাহী এই মামলায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন। তিনি ২০১৭ সালের ২ নভেম্বর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মারা যান। মামলার বাকি তিন আসামি এখনও পলাতক।