‘প্রতিবেশী দেশের লোকও ওসমানী বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারবে’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। কাজ শেষে এখান থেকে বিভিন্ন দেশে সরাসরি ফ্লাইট যাবে। তখন প্রতিবেশী দেশের লোকজনও এই বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারবে।

শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) সকালে ওসমানী বিমানবন্দরের নির্মাণাধীন কার্গো টার্মিনাল পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আব্দুল মোমেন বলেন, ‘ভোলাগঞ্জে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট স্থাপনের বিষয়ে আমি ঠিক জানি না। আমরা এই (ওসমানী) বিমানবন্দর অনেক বড় করছি। শুধু সিলেটের লোকজন এখান থেকে বিদেশে যাবেন তা নয়, (ভারতের) সেভেন সিস্টার্সের (আসাম, মেঘালয়, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড ও ত্রিপুরা রাজ্য) লোকেরাও এখানে এসে বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারবে। এখানে আটটি বোর্ডিং ব্রিজ হবে। তখন সরাসরি ফ্লাইট যাবে। এখন শুধু লন্ডন ও ম্যানচেস্টারে সরাসরি ফ্লাইট যায়, যা কোভিডের কারণে বন্ধ ছিল, এখন আবার শুরু হবে। (কাজ শেষ হলে) এখান থেকে বিভিন্ন দেশে সরাসরি ফ্লাইট যাবে। তখন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের লোকেরাও এখানে এসে বিদেশে যেতে পারবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের যথেষ্ট সম্পদ আছে। বিভিন্ন রকমের শাক-সবজি আছে। সিলেটে আনারসসহ অনেক কিছুই হয়, যেগুলোর বিদেশে মার্কেট ভালো। এজন্য আগামীতে আমরা এদিকে বেশ নজর দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কিছু কার্গো ফ্রেইট (মালামাল বহনকারী বিমান) কিনবেন। আমাদের কার্গো ফ্লাইট নেই। আমরা এখন সাধারণ বিমানের মাধ্যমে পাঠাই। আগামীতে যদি কার্গো ফ্লাইট হয়, তাহলে অনেক বেশি মালামাল বিদেশে পাঠাতে পারবো। সেজন্য নতুন কার্গো ফ্রেইট কেনার নীতিগত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, কার্গো টার্মিনালের কাজ শেষের দিকে। মূল মেশিনটা বসে গেছে। এটা (মেশিন) ডিটেকশন (শনাক্ত) করবে যে, কার্গোতে কী মালামাল আছে। এটার সবচেয়ে সুবিধা হলো, একসঙ্গে অনেক কার্গো দিতে পারবে। কিন্তু কার্গোতে কী আছে, তা প্রত্যেকটা ডিটেকশন করা যাবে। দেশে এ ধরনের অনেকগুলো কার্গো কেনা হয়েছে। আরও ছয়টি ঢাকার জন্য কেনা হয়েছে। শুধু সিলেটেরটা ইনস্টল (বসানো) হয়েছে।