চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন সংগ্রহ করলেন ঝুমন দাশ

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়বেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতারের পর ছয় মাস কারাবরণকারী ঝুমন দাশ আপন। 

রবিবার (৫ ডিসেম্বর) তিনি উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আলমগীর কবীর খানের কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। চতুর্থ দফায় ইউপি (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচনে শাল্লার চারটি ইউনিয়নে আগামী বছরের ৫ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ হবে।

ঝুমন দাশ জানান, গত ইউপি নির্বাচনে একজন প্রার্থীর হয়ে মাঠে কাজ করেছি। তখন সাধারণ মানুষকে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। নির্বাচনের পাঁচ বছরে মানুষকে যে কথা দিয়েছিলাম তা করতে পূরণ করতে পারিনি। কারণ আমি চেয়ারম্যান ছিলাম না। তাই আমার দেওয়া প্রতিশ্রুতির অসমাপ্ত কাজ এবার চেয়ারম্যান হয়ে পূরণ করতে চাই।

৬ মাস পর কারামুক্ত ঝুমন দাশ

রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৯ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ১২ ডিসেম্বর, আপিল ১৩ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, আপিল নিষ্পতি ১৮ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১৯ ডিসেম্বর এবং প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২০ ডিসেম্বর।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, নির্বাচনে সকল প্রার্থী আমাদের কাছে সমান। যারা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বিধি অনুযায়ী আগামী ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দিতে হবে। শাল্লার হবিবপুর ইউনিয়নে মোট ভোটার ২১ হাজার ৯১২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১১ হাজার ২৩ জন এবং নারী ভোটার ১০ হাজার ৮৮৯ জন।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ মার্চ সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে ‘শানে রিসালাত সম্মেলন’ নামে একটি সমাবেশের আয়োজন করে হেফাজতে ইসলাম। এতে হেফাজতের তৎকালীন আমির জুনায়েদ বাবুনগরী ও যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক বক্তব্য দেন।

সমাবেশের পরদিন ১৬ মার্চ মামুনুল হকের সমালোচনা করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন দিরাইয়ের পার্শ্ববর্তী উপজেলা শাল্লার নোয়াগাঁওয়ের যুবক ঝুমন দাশ। স্ট্যাটাসে তিনি মামুনুলের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের অভিযোগ আনেন। ১৬ মার্চ রাতে ঝুমনকে আটক করে পুলিশ। ২২ মার্চ ঝুমনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন শাল্লা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল করিম। গত ২৩ সেপ্টেম্বর জামিন পান ঝুমন দাশ।