বাবা-মায়ের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত মুহিত

প্রিয় শহর, প্রিয় আঙিনাতেই চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সিলেটের কৃতী সন্তান, সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আবুল মাল আবদুল মুহিত। শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত সিলেট নগরীর রায়নগর এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে বাবা প্রয়াত অ্যাডভোকেট আবু আহমদ আব্দুল হাফিজ এবং মা সৈয়দা শাহার বানু চৌধুরীর কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।

এর আগে রবিবার (১ মে) দুপুর ১২টায় সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তার মরদেহ ধোপাদিঘীপাড়ে হাফিজ কমপ্লেক্স থেকে নিয়ে যাওয়া হয় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখান দুপুর সোয়া ১২টায় সিলেট জেলা ও মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে ভাষা সংগ্রামী ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আবুল মাল আবদুল মুহিতকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এরপর একে একে সিলেটের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর দুপুর ২টার দিকে জানাজার নামাজের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে। সেখানে বিপুলসংখ্যক মানুষ জানাজায় অংশ নেন।

সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে জানাজায় বহু মানুষ অংশ নেনসাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। শনিবার (৩০ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে মুহিতের মরদেহ সড়কপথে সিলেটে নিয়ে আসা হয় হাফিজ কমপ্লেক্সে।

এ সময় মরদেহ দেখতে নেতাকর্মী, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতিতে লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে বাড়ির আঙিনা। সেখানে এক শোকাবহ পরিবেশের তৈরি হয়। ওইদিন রাতে হাফিজ কমপ্লেক্সেই রাখা হয় মরদেহ। সিলেটের মানুষ তাকে একনজর দেখে নেন।

এদিকে শনিবার রাতে লাশের পাশে দাঁড়িয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের এমপি ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘ঈদের সময় সিলেট আসতে চেয়েছিলেন মুহিত ভাই। আমাকে বলেছিলেন তাকে নিয়ে আসতে।’