জাফলংয়ে পর্যটকদের লাঠিপেটা করেছেন স্বেচ্ছাসেবকরা

টিকিট কাটাকে কেন্দ্র করে ঈদের ছুটিতে সিলেটের জাফলংয়ে বেড়াতে আসা পর্যটকদের লাঠিপেটা করেছেন উপজেলা প্রশাসনের টোল কাউন্টারে নিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবকরা। এ সময় নারী পর্যটকদের লাঞ্ছিত করেছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (৫ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে টিকিট কাটাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে হামলায় জড়িত দুই স্বেচ্ছাসেবককে আটক করেছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সিলেট থেকে একটি পরিবার জাফলংয়ে বেড়াতে আসে। জাফলং ট্যুরিস্ট স্পটে প্রবেশ করতে চায় তারা। এ সময় উপজেলা প্রশাসনের টোল কাউন্টারে টিকিট কাটা নিয়ে তাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয় সেখানে নিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবকদের। এর জের ধরে নারী-পুরুষসহ ছয় পর্যটকের হামলা চালান স্বেচ্ছাসেবকরা। এ সময় তাদের লাঠিপেটা করেন তারা। এতে তিন পর্যটক আহত হয়েছেন।

গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিলুর রহমান বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। ঘটনায় জড়িত দুই স্বেচ্ছাসেবককে দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। 

জাফলংয়ে বেড়াতে আসা পর্যটকদের লাঠিপেটা

পর্যটকদের ওপর হামলার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, টিকিট কাটাকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে। তবে পর্যটকরা জানিয়েছেন, তাদের কাছে চাঁদা দাবি করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

পর্যটন স্পটে কেন টিকিট কাটার নিয়ম রাখা হয়েছে জানতে চাইলে ইউএনও বলেন, ‘জাফংলয়ে ২৭ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দিয়েছিল জেলা পর্যটন উন্নয়ন কমিটি। পর্যটন এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য ১০ টাকা মূল্যের টিকিটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তবে এ নিয়ে পর্যটকদের ওপর হামলার বিষয়টি মেনে নেওয়া যায় না। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) লুৎফর রহমান বলেন, ‘ঘটনার পরপরই দুই স্বেচ্ছাসেবককে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’