সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের উৎমাছড়ায় পর্যটকদের বাধা দেওয়ার বিষয়ে বাধাদানকারীরা নিজেদের ভুল স্বীকার করেছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১০ জুন) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন তাদের ভুল স্বীকার করেন বলে জানান কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উজায়ের আল মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘এটি মূলত ভুল বোঝাবুঝি থেকে হয়েছে। উপজেলার প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তাদেরকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। তারা বলছেন, এই ধরনের কাজ আর করবেন না।’
অশ্লীল কার্যকলাপের অভিযোগ তুলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উত্তর রনিখাই ইউনিয়নে উৎমাছড়া পর্যটনকেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়া হয় পর্যটকদের। রবিবার (৮ জুন) এমন ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে- স্থানীয় পরিচয়ে কয়েকজন বেড়াতে আসা পর্যটকদের চলে যেতে অনুরোধ জানাচ্ছেন। এ সময় পর্যটকদের এলাকার পরিবেশ নষ্ট না করা ও অশ্লীলতা না করার কথা বলা হয়।
এরপর বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয় এবং সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এই পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সম্মেলনকক্ষে ইউএনও আজিজুন্নেসা, ওসি, পর্যটন পুলিশের প্রতিনিধি ছাড়াও বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, সংশ্লিষ্ট এলাকার কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজনকে ডাকা হয়।
বৈঠকে উপস্থিত একজন জানান, সেখানে বাধাদানকারীরা নিজেদের ভুল স্বীকার করেছেন। তারা বলেছেন, ভারতের সীমান্তবর্তী উৎমাছড়া একটি দুর্গম এলাকা। সেখানে অনেকে দলবেঁধে মোটরসাইকেলে করে আসেন। বাজানো হয় উচ্চস্বরে হর্ন। দলবদ্ধ লোকজন ডিজে পার্টিতে লিপ্ত হন। অনেকে শালীনতাবিবর্জিত কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হন। গ্রাম এলাকার লোকজনের যা অপছন্দ। সীমান্তবর্তী হওয়ায় ওই পথে মাদকও পাচার হয়।
সব মিলিয়ে মানুষের উপদ্রব (পাবলিক নুইসেন্স) থেকে বাঁচতে তারা এমনটি করেছিলেন বলে বৈঠকে জানিয়েছেন।