সিলেট রেলস্টেশনে বন্যার পানি, ট্রেন-বাস চলাচল বন্ধ

বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় সিলেট রেলস্টেশন থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি সিলেটের সঙ্গে সব উপজেলার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মাইজগাঁও স্টেশন থেকে ট্রেন চলবে। শনিবার (১৮ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রেলস্টেশন বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‌‘বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সিলেট স্টেশন বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মাইজগাঁও রেলস্টেশন থেকে ট্রেন চলবে।’

নুরুল ইসলাম বলেন, ‘রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। স্টেশনে প্রবেশ করতে পারছে না কোনও ট্রেন। স্টেশন থেকে সকাল সোয়া ৭টায় কালনী ও বেলা সোয়া ১১টায় জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেন ছেড়ে যায়। এরপর থেকে আর কোনও ট্রেন চলাচল করেনি। বন্যার পানি নেমে গেলে পুনরায় সিলেট রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেন চলবে।’

সিলেটের পরিবহন নেতা আবদুল গফুর বলেন, ‘সিলেটের কদমতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে পানি জমেছে। বিভিন্ন সড়ক তলিয়ে গেছে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে কিছু যানবাহন চলছে। তবে যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে যাবে। এর আগে সিলেটের সঙ্গে সব উপজেলার বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।’ 

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রেলস্টেশন বন্ধ ঘোষণা করা হয়

ইতোমধ্যে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি হয়েছে। জেলার ৮০ শতাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এ অবস্থায় সিলেট-সুনামগঞ্জের সবগুলো বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দুই জেলার মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। শনিবার দুপুর সোয়া ১২টা থেকে বিভিন্ন উপকেন্দ্রের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ বিভাগের সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল কাদের।

একই দিন দুপুরে সিলেটের শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল ও এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বন্যার পানি ঢুকেছে। পানি ঢুকে পড়েছে শামসুদ্দিন হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে। দুর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে জেনারেটর কক্ষে পানি ঢুকে পড়ায় জেনারেটর চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে।

ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ‘হাসপাতালে বন্যার পানি প্রবেশ করায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। সেই সঙ্গে হাসপাতালের জেনারেটর কক্ষে পানি প্রবেশ করেছে। তাই জেনারেটরও চালু করা যাচ্ছে না।’