‘এতদিন শুকনো খাবার খেয়ে থাকা যায়?’

সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। শহরের নিম্নাঞ্চল এখনও বানের পানিতে নিমজ্জিত। হাওর এলাকার বানভাসি মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। অনেকেই ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন। 

সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের সাদকপুর গ্রামের মুহিবুর রহমান বলেন, ‌‘প্রায় এক মাস ধরে বন্যা চলছে। এতদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছি, শুকনো খাবার ছাড়া কিছু পাইনি। এতদিন কি শুকনো খাবার খেয়ে থাকা যায়?’

একই গ্রামের শাহ মিয়া বলেন, ‘কোনোরকমে বেঁচে আছি। ত্রাণ কেউ পায় কেউ পায় না, মানুষ বেশি ত্রাণ কম। ত্রাণের পরিমাণ আরও বাড়ানো দরকার।’ 

বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘আর কয়েকদিন পরে ঈদ। চাল-ডাল-লবণ-তেল কোনও কিছু ঘরে নেই। কীভাবে কী করবো ভেবে পাচ্ছি না।’

এদিকে সদর উপজেলার সাদকপুর গ্রামের ২০টি কাঁচা বসতঘর ভেঙে যাওয়ায় শতাধিক মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন। তাদের কেউ অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। কেউ আবার আত্মীয়ের বাড়িতে আছেন।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সুনামগঞ্জের ১১টি উপজেলার চার হাজার ৭৪৭টি বসতঘর সম্পূর্ণ ও ৪০ হাজার ৫৪১টি বসতঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, এখন ত্রান বিতরণের কাজ চলছে। পরে পুনর্বাসনের কাজ শুরু হবে। 

শুক্রবার (১ জুলাই) সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল জানান, সকাল ৯টায় ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।