তাদের ঈদ আশ্রয়কেন্দ্রে

সুনামগঞ্জে বন্যার ক্ষত এখনও শুকায়নি। কারও বসতঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে, আবার কারও বসতঘরে এখনও কাদা-পানি থাকায় ফিরতে পারেননি। তাই এবার আশ্রয়কেন্দ্রে ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন বন্যাদুর্গত প্রায় সাত হাজার মানুষ। 

রবিবার (১০ জুলাই) সকাল ৮টায় সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় কোর্ট মসজিদের ঈদগাহ ময়দানে প্রথম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে সামর্থ্যবানরা পশু কোরবানি করেন।

জানা গেছে, নদ-নদীর পানি কমলেও ঘরবাড়িতে এখনও কাদা-পানি। তাই জেলার সুনামগঞ্জ সদর, ছাতক, দোয়ারা বাজার, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর জগন্নাথপুর, দিরাই ও শাল্লা উপজেলার সাত হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে ঈদ করছেন। সুনামগঞ্জের সুলতানপুর আশ্রয়কেন্দ্রে এখনও ৮০টি পরিবার বাস করছেন। বসতঘর বসবাসের উপযোগী না হওয়ায় তারা আজও বাড়ি ফিরতে পারেননি।

জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, সাতটি উপজেলার প্রায় সাত হাজার মানুষ এখনও আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছেন। সুন্দরভাবে ঈদ উদযাপনে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে।