পড়া না পারায় মাদ্রাসাছাত্রকে নির্মম পিটুনি শিক্ষকের

সিলেটে পড়া না পারায় মাদ্রাসাছাত্রকে নির্মমভাবে পিটিয়েছেন এক শিক্ষক। নির্যাতন সইতে না পেরে পালিয়ে মাদ্রাসার পাশের দোকানে আশ্রয় নেয় ওই ছাত্র। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

রবিবার (২০ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে সিলেটের গোলাপগঞ্জের চন্দনভাগ রানাপিং এলাকার তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার ওই শিক্ষার্থী (১৩) মাদ্রাসার হেফজ বিভাগে অধ্যয়নরত এবং গোলাগঞ্জের ফাজিলপুরের এক প্রবাসীর ছেলে। গুরুতর অবস্থায় তাকে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জানায়, নির্যাতনকারী শিক্ষকের নাম শাফি আহমদ। তিনি গোলাগঞ্জের ফুলবাড়ি ইউনিয়নের টিকপাড়া এলাকার আলীর ছেলে। পড়া না পারায় ওই ছাত্রকে মারধর করেন শিক্ষক শাফি আহমদ।

সোমবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে ওই শিক্ষার্থীর চাচা আমির উদ্দিন খান বলেন, ‘পড়া না পারায় শিক্ষক শাফি আহমদ তাকে নির্মমভাবে বেত্রাঘাত করেন। একপর্যায়ে সে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে একটি দোকানে আশ্রয় নেয়। তবু এ বিষয়ে আমাদের কিছুই জানাননি মাদ্রাসার শিক্ষকরা।’

তিনি বলেন, ‘রবিবার রাত ৯টার দিকে বাড়িতে এক অনুষ্ঠান উপলক্ষে ভাতিজাকে আনার জন্য মাদ্রাসায় যাই। ওই সময় শিক্ষকরা তাকে খুঁজতে থাকেন। এ নিয়ে শিক্ষকরা টালবাহানা করেন। তখন আমি রাগারাগি করলে বিষয়টি খুলে বলেন তারা। পরে মাদ্রাসা থেকে বেরিয়ে পাশের দোকানে গিয়ে দেখি কাঁদছে ভাতিজা। এরপর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। সেখানে তার শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন হতবাক হয়ে যাই। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেবো আমরা।’

এ বিষয়ে মাদ্রাসার মুহতামিম বদরুল হক বলেন, ‘ছাত্রকে নির্যাতনের ঘটনায় ওই শিক্ষককে বহিষ্কার করা হবে। পড়া না পারায় ছাত্রকে এভাবে বেত্রাঘাত করা উচিত হয়নি ওই শিক্ষকের। এ বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নেবো।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গোলাপগঞ্জ থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মাদ্রাসাছাত্রকে নির্যাতনের ঘটনায় কোনও অভিযোগ এখনও থানায় আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’