কলেজছাত্রীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামাতো ভাই রিমান্ডে

সিলেটে কলেজছাত্রী সোনিয়া বেগম (২০) হত্যার মামলার একমাত্র আসামি মো. সজিব আহমদের (২৫) রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আসামি নিহতের মামাতো ভাই। তিনি হবিগঞ্জ জেলার আজমেরীগঞ্জ উপজেলার শরীফনগর গ্রামের মো. নুরুদ্দিনের ছেলে।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) আসামিকে আদালতে তোলার পর পুলিশ সাত দিনের রিমান্ড চাইলে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর মোমেন তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই জামিল আহমদ বলেন, কী জন্য এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে সেই রহস্য উদঘাটনের জন্য আসামিকে দুপুরে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

জানা গেছে, সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানাধীন সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে সজিবকে গ্রেফতার করে র‍্যাব। গত রবিবার দুপুরে সিলেট নগরের শেখঘাট খুলিয়াটুলা আবাসিক এলাকার নীলিমা-১৪ নম্বর বাসা থেকে সোনিয়ার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার কলাছড়া গ্রামের বিল্লাল আহমদের মেয়ে ও দক্ষিণ সুরমার নুরজাহান মেমোরিয়াল মহিলা ডিগ্রি কলেজের ছাত্রী। তিনি মা ও সৎ বাবার সঙ্গে ওই বাসার চতুর্থ তলায় থাকতেন। সোনিয়া সিলেটের আঞ্চলিক ভাষার নাটকে অভিনয় করতেন।

পুলিশ সূত্র জানায়, হত্যাকাণ্ডের আগের রাতে সোনিয়াদের বাসায় ছিলেন মামাতো ভাই সজিব আহমদ। রবিবার সকালে সোনিয়া পরিবারের সদস্যদের সাথে নাস্তা করেন। এরপর পরিবারের অন্য সদস্যরা সৎ বাবা সেলিম মিয়াকে দেখতে হাসপাতালে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পর সজিবও বাসা থেকে বের হয়ে যান। দুপুর ১২টার দিকে সাড়াশব্দ না পেয়ে সোনিয়ার ভাবি তাকে ডাকতে যান। এ সময় রুমে ঢুকে তিনি তার গলাকাটা লাশ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে এবং রুমের ভেতর থেকে কাপড় কাটার একটি রক্তমাখা কাঁচি জব্দ করে।

সোনিয়ার পরিবারের প্রথম থেকেই দাবি করে আসছে, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সজিব জড়িত। পুলিশের সন্দেহেও ছিলেন তিনি। ঘটনার পর থেকে আসামি গা ঢাকা দেন। মঙ্গলবার দুপুরেই নিহতের বড় ভাই পারভেজ আহমদ বাদী হয়ে সজিবকে প্রধান আসামি করে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন।