ঈদের নামাজ শেষে একজনের জুতা আরেকজন পরায় সংঘর্ষ, নিহত ১

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় ঈদের নামাজ শেষে ভুলে একজনের জুতা আরেকজন পরাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে একজন নিহত ও ১৬ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (২২ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়নের মাইজখলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবুল কাসেম (২৫) মাইজখলা গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, জায়গাজমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাইজখলা গ্রামের জালাল শাহের সঙ্গে জিয়াউর রহমানের বিরোধ চলে আসছিল। শনিবার সকালে মাইজখলা মসজিদে ঈদের নামাজ শেষে ভুলে জালাল শাহের জুতা পরে ফেলেন জিয়াউর রহমান। এ নিয়ে তাদের কথা কাটাকাটি হয়।

একপর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ২০ জন আহত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে এক ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। সেইসঙ্গে ১৫ জনকে আটক করা হয়।

সংঘর্ষে জালাল শাহ, জিয়াউর রহমান, হানিফ মিয়া, আবুল কাশেম, মো. সুমন, শাকিল মিয়া, মরম শাহ, আয়াত আলী, রনি মিয়া, আব্দুর রউফ, আমিনুল হক, আতাউর রহমান, অজুদ মিয়া, আব্দুল হাকিম, আনোয়ার হোসেন, আব্দুর রশিদ ও সাদ্দাম হোসেন আহত হন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত আবুল কাসেম ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। 

দোয়ারাবাজার থানার ওসি দেব দুলাল ধর বলেন, ‘উভয়পক্ষের মধ্যে জায়গাজমি ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। সকালে মসজিদে নামাজ শেষে জুতা পরিবর্তন করাকে কেন্দ্র করে জালাল শাহের সঙ্গে জিয়াউর রহমানের কথা কাটাকাটি হয়। পরে উভয়পক্ষের লোকজন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। এতে ১৭ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে একজন ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ১৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন জালাল শাহ ও জিয়াউর রহমান।’

দোয়ারাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হামিদ বলেন, ‘পূর্ববিরোধকে কেন্দ্র করে এর আগেও তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। আজ ঈদের জামাত শেষে একজনের জুতা অন্যজন ভুলে পরায় প্রথমে কথা কাটাকাটি ও পরে সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত হন। নিহত আবুল কাশেম জালাল শাহের সমর্থক।’