গরমে রেললাইন বেঁকে আটকা পড়েছিল পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন

অতিরিক্ত গরমে রেললাইন বেঁকে ঢাকার সঙ্গে সিলেটের ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল ২০ মিনিট। এ সময়ে কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের বিমান বাহিনী ইউনিটের রেলগেট এলাকায় ২০ মিনিট আটকা পড়েছিল সিলেটগামী আন্তনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন। খবর পেয়ে রেলওয়ের কর্মী এবং স্থানীয় লোকজন পানি ঢেলে রেললাইন স্বাভাবিক করলে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে শমশেরনগর ইউনিয়নের বিমান বাহিনী ইউনিটের রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, প্রচণ্ড গরমে রবিবার দুপুরে রেললাইন আঁকা-বাঁকা হয়ে যায়। আঁকা-বাঁকা হওয়া লাইনে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন দেখা দেয়। রবিবার বিকাল ২টা ৪৭ মিনিটে সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন শমশেরনগর রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। শমশেরনগর বিমান বাহিনী ইউনিটের রেলগেট এলাকায় যাওয়ার পর ট্রেনের গতি হ্রাস পায়। একপর্যায়ে ট্রেনটি আটকা পড়ে। খবর পেয়ে রেলপথ রক্ষণাবেক্ষণকারী শ্রমিকরা সেখানে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় লাইনে পানি ও কাদা ছিটান। লাইন ঠান্ডা হওয়ার পর ট্রেনটি ছেড়ে যায়। এরই মধ্যে দুপুর ২টা ৫৫ মিনিট থেকে ৩টা ১৪ মিনিট পর্যন্ত ট্রেনটি আটকা পড়েছিল।

রেলপথ রক্ষণাবেক্ষণকারী মিস্ত্রি রিপন মিয়া বলেন, ‘প্রচণ্ড গরমের কারণে রেললাইন আঁকা-বাঁকা হয়ে গিয়েছিল। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে পার্শ্ববর্তী ছড়া থেকে পানি ও কাদা ঢালা হয়। পরে ট্রেনটি ছেড়ে যায়।’

শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী মাস্টার উত্তম কুমার দেব বলেন, ‘সাধারণত ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার ওপরে থাকলে অনেক সময় রেলপথ বেঁকে যায়। মাত্রাতিরিক্ত গরমের কারণে রেলগেট এলাকায়ও রেলপথের কিছু লাইন বেঁকে যাওয়ায় পাহাড়িকা এক্সপ্রেস আটকা পড়েছিল। পরে রেললাইনের ওপর পানি ও কাদা দিয়ে ঠান্ডা করার পর ট্রেনটি গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এখন ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক আছে।’

শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, মৌলভীবাজারে ৩৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা থেকে ৪০ তাপমাত্রা পর্যন্ত ওঠানামা করছে। রবিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।