চেয়ারম্যানসহ বিএনপির ১১ নেতাকর্মী কারাগারে

নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় নবীগঞ্জ উপজেলার বতর্মান ও সাবেক তিন ইউপি চেয়ারম্যানসহ বিএনপির ১১ নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।

কারাগারে যাওয়া নেতাকর্মীরা হলেন- নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মুক্তাদির চৌধুরী, নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খালেদ আহমদ পাঠান, বাউসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শেখ ছাদিকুর রহমান শিশু, নবীগঞ্জ সদর ইউপি বিএনপির সভাপতি এনাম উদ্দিন, পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াহিদুজ্জামান জুয়েল, উপজেলা যুবদল নেতা শেখ শিপন মিয়া, পৌর যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এমদাদুর রহমান লেবু, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মকবুল চৌধুরী, আউশকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির অন্যতম সদস্য শফিকুজ্জামান রুহেল, দেবপাড়া ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি বকুল মিয়া, নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জামিল আহমেদ।

জানা যায়, ২০২২ সালের ১৯ নভেম্বর বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে তৎকালীন নবীগঞ্জ থানার এসআই গৌতম সরকার বাদী হয়ে নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন। এতে সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়া, নবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ছাবির আহমেদ চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মুজিবুর রহমান চৌধুরী সেফুসহ ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে ও ১২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করা হয়।

বুধবার দুপুরে ওই মামলায় হবিগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিএনপির নেতাকর্মীরা হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল হাই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ প্রসঙ্গে হবিগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সুজাত মিয়া বলেন, ‘গায়েবি মামলায় বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে, সেটা সত্যিই খুব দুঃখজনক। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে কারাবন্দি সকলের মুক্তি দাবি করছি।’