প্রাইভেটকার নিয়ে অধ্যক্ষের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিয়ে হত্যা, প্রভাষকের মৃত্যুদণ্ড

সিলেটের ওসমানীনগরে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা শায়খুল ইসলামের মোটরসাইকেলে গাড়ি দিয়ে ধাক্কা দিয়ে হত্যার ঘটনায় একই প্রতিষ্ঠানের প্রভাষক লুৎফুর রহমানের ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তাকে আরও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে সিলেট সিনিয়র দায়রা জজ আদালতের বিচারক মশিউর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। ৪৭ সাক্ষীর মধ্যে ৩০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত লুৎফুর রহমান সিলেটে দক্ষিণ সুরমার ফরিদপুর গ্রামের মৃত তাহির আলীর ছেলে। এ ছাড়া নিহত অধ্যক্ষ মাওলানা শায়খুল ইসলাম ওসমানীনগর থানাধীন গোয়ালাবাজারের কালাসার গ্রামের বাসিন্দা।

সিলেট আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) নিজাম উদ্দিন জানান, ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সকালে মোটরসাইকেলে করে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে লুৎফুর রহমান তার ব্যবহৃত প্রাইভেটকারের নম্বর বদল করে মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিলে মারা যান শায়খুল ইসলাম। আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামিকে এই দণ্ড দেন।

জানা গেছে, মাওলানা শায়খুল ইসলামকে পূর্ব বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ এনে লুৎফুর রহমানসহ দুই জনের বিরুদ্ধ মামলা করেন নিহতের স্ত্রী দিলবাহর তালুকদার লিপি। পরে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাইফুল মোল্লা লুৎফুর রহমানকে অভিযুক্ত করলেও অপর আসামি আহমদ আল হেলালীর অব্যাহতি চেয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে মামলার বাদী অভিযোগপত্রের নারাজি দিলে আদালত পুনরায় তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন।

পিবিআই তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ফজলে আজিম পাটোয়ারি গত বছরের ১৬ জানুয়ারি আহমদ আল হেলালীকে বাদ দিয়ে লুৎফুর রহমানকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।