পটুয়াখালীতে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদের কলেজপড়ুয়া মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় তিন কিশোরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। বুধবার দুমকি থানার পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম পটুয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
বৃহস্পতিবার (০৮ মে) বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘তিন কিশোরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।’
পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘দুই কিশোরের নাম উল্লেখ করে বাদী থানায় মামলা করেন। কিন্তু মামলার তদন্তকালে এ ঘটনায় আরেক কিশোরের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। ২২ মার্চ এজাহারভুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। ২৭ মার্চ আদালত এক আসামিকে যশোর শিশু সংশোধনাগারে তিন দিন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। জিজ্ঞাসাবাদে আসামি আরেক কিশোরের জড়িত থাকার কথা জানায়। অভিযুক্ত ওই কিশোরকে আইনের আওতায় আনতে একাধিকবার অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু আত্মগোপনে থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। মামলার তদন্ত চলাকালে ২৬ এপ্রিল রাতে কলেজছাত্রীর আত্মহত্যার খবর পাওয়া যায়। এটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক ঘটনা। এসব কারণে পুলিশ মামলাটির তদন্ত দ্রুত শেষ করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জুলাই আন্দোলনে শহীদ বাবার কবর জিয়ারত করে নানাবাড়িতে ফেরার পথে গত ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় দুমকির একটি গ্রামে ওই কলেজছাত্রী (১৭) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে দুমকি থানায় মামলা করেন। পরে এজাহারভুক্ত দুই কিশোরকে গ্রেফতার করে যশোর শিশু সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। মামলার তদন্ত চলাকালে আরেক কিশোরের সংশ্লিষ্টতা পায় পুলিশ। এরই মধ্যে গত ২৬ এপ্রিল রাজধানীর শেখেরটেক এলাকার ভাড়া বাসা থেকে ওই ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়।