শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ১০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস

গত কয়েকদিন ধরে মৌলভীবাজার জেলায় তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। একইসঙ্গে বেড়েছে শীতের প্রকোপ। কনকনে শীতে দুর্ভোগ বেড়েছে ছিন্নমূল মানুষের। তীব্র শীতের কারণে চা শ্রমিক ও হাওরপাড়ের মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশাসহ হাড় কাঁপানো শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে এ জেলার মানুষ।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগেরদিন সোমবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রবিবার ১১.২ ডিগ্রি, শনিবার ১১.২ ডিগ্রি ও শুক্রবার ১১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান জানান, সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তাপমাত্রার এ অবস্থা আরও কয়েক দিন থাকতে পারে।

শীতে শিশু ও বৃদ্ধরা ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এতে সর্দি, কাশি ও হাঁপানিজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। বিকাল হলে শীতের তীব্রতা বেড়ে তা সকাল পর্যন্ত থাকছে।

শ্রীমঙ্গল ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী জানান, শীতে শিশুদের নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার প্রকোপ কিছুটা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে বৃদ্ধরা শ্বাসকষ্ট রোগ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ছাড়াও সর্দি, কাশিসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। তবে তেমন একটা ভিড় নেই।

মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন চৌধুরী মোর্শেদ জালাল উদ্দিন বলেন, শীতজনিত রোগে প্রতিদিন মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল ও উপজেলা হাসপাতালের আউটডোরে শিশু ও বয়স্কদের ভিড় বেড়েছে। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এদিকে গরম কাপড়ের দোকানে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের ভিড় বাড়ছে।