কুলাউড়ায় ৭২ লাখ টাকার টেন্ডারে অনিয়মের অভিযোগ

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সমাজসেবা অফিসের ৭২ লাখ টাকার টেন্ডারে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, কুলাউড়া উপজেলার বিভিন্ন চা বাগানের শ্রমিক পরিবারে প্যাকেটজাত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক দ্রব্য সরবরাহের জন্য গত ২২ মার্চ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে কুলাউড়া উপজেলা সমাজসেবা অফিস দরপত্র আহ্বান করে।

দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী ২৩ মার্চ ঠিকাদারেরা উপজেলা  নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের নির্ধারিত  বাক্সে দরপত্র জমা দেন। ওই দিন বিকাল ৪টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও দরপত্র আহ্বানকারী কমিটির সদস্যরা এবং অংশগ্রহণকারী সব ঠিকাদারের উপস্থিতিতে দরপত্রের বাক্স খোলা হয়। ৫টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দেয়। এতে প্রথম সর্বনিম্ন দরদাতা কুলাউড়ার জামাল উদ্দিন (৫৬ লাখ ১৮ হাজার ৭৫০ টাকা), দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দরদাতা জুড়ীর ঘোষ অটো রাইছ মিল (৫৮ লাখ, ৯০ হাজার ৬২৬ টাকা), তৃতীয় সর্বনিম্ন দরদাতা কুলাউড়ার বিলাশ এন্টারপ্রাইজ (৬৮ লাখ ৫৮ হাজার টাকা),চতুর্থ সর্বনিম্ন দরদাতা হবিগঞ্জের হাবিবুর রহমান (৭১ লাখ ৮৪ হাজার ৭৫০ টাকা) এবং পঞ্চম সর্বনিম্ন দরদাতা শ্রীমঙ্গলের মেসার্স আদমজী ট্রেডিং (৭২ লাখ ২৬ হাজার ৬০০ টাকা) নির্বাচিত হন।

আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে আহত ৩

এই পাঁচজন ঠিকাদারের মধ্যে হবিগঞ্জের হাবিবুর রহমান ছাড়া বাকি ৪ জন অনিয়ম- দুনীর্তির অভিযোগ তুলেছেন।

প্রথম সর্বনিম্ন দরদাতা জামাল উদ্দিন আহমদ বলেন, দরপত্র বাক্স খোলার পর কুলাউড়া সমাজসেবা অফিসার কল্লোল সাহা সিদ্ধান্ত জানাতে গড়িমসি করেন। কাগজপত্র যাচাইয়ের অজুহাতে ২৩ মার্চের বদলে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত না জানানোর কারণে তাদের সন্দেহ হয়।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, এর আগে ১৬ এপ্রিল শনিবার অফিস বন্ধের দিন সর্বনিম্ন দরদাতাদের কাগজপত্র রদবদল করে ৪র্থ দরদাতাকে কাজ পাইয়ে দিতে তার কাগজপত্র সংশোধন করা হয়। এতে সরকারে প্রায় ১৫ লাখ টাকা ক্ষতি সাধন হবে।

আরও পড়ুন: তনু হত্যার প্রতিবাদে শাহবাগে সড়ক অবরোধ

এ বিষয়ে কুলাউড়া উপজেলা সমাজসেবা অফিসার কল্লোল সাহা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দরপত্র খোলা হয় ২৩ মার্চ। আর আমি বদলি হয়ে যাই ২১ মার্চ। বর্তমানে আমি ফরিদপুরে আছি। এই দরপত্রের কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আমি কোনও সিদ্ধান্ত দিতে পারবো না।’

এ ব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসম কামরুল ইসলাম  বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এই কমিটির সভাপতি ইউএনও। আমি কোনও দায়িত্বে নেই। আমার কোনও সংশ্লিষ্টতাও নেই। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’

 

/এসটি/এপিএইচ/