‘দেশে স্পেইস ইঞ্জিনিয়ার তৈরিতে শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন প্রয়োজন’

দৈনন্দিন জীবনে মোবাইল ক্যামেরা, পানি বিশুদ্ধকরণ যন্ত্র, চশমার লেন্স এমনকি অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের মতো প্রযুক্তি ব্যবহারে স্পেইস ইঞ্জিনিয়ারিং গুরুত্ব অপরিসীম। অথচ বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা স্পেইস ইঞ্জিনিয়ার তৈরিতে সহায়ক নয়। এ ধরনের পরিস্থিতি আরও দ্রুত উন্নয়ন প্রয়োজন বলে মনে করছেন ব্র্যাক অন্বেষা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের অন্যতম কাণ্ডারি ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিকাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের প্রভাষক আব্দুল্লা হিল কাফি।

তিনি ঢাকা লিট ফেস্টের তৃতীয় দিনে শনিবার (৭ জানুয়ারি) বাংলা একাডেমির ভাস্কর নভেরা মিলনায়তনে ‘মিশন টু মার্স: ওয়ান্ট টু গো টু দি রেড প্লানেট?’ শীর্ষক সেশনের এসব কথা বলেন। স্পেইস ইনোভেশন ক্যাম্পের সহায়তায় আয়োজিত এই সেশনটি সাজানো হয়েছিল বিজ্ঞান নির্ভর আলোচনা, ভিডিও প্রদর্শনী ও কুইজ দিয়ে।

আলোচক মহাকাশ গবেষণার বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সালের ক্রমানুসারে ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, ‘স্পেইস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কল্যাণে আমরা মোবাইল ক্যামেরা, পানি বিশুদ্ধকরণ যন্ত্র, চশমার লেন্স এমনকি অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের মতো প্রযুক্তি দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করতে পারছি।’

ছবি: সাজ্জাদ হোসেন

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে স্পেইস ইঞ্জিনিয়ার তৈরির মতো দক্ষ শিক্ষাব্যবস্থা নেই। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নত হলেও আরও দ্রুত উন্নয়ন প্রয়োজন।’

প্রশ্নোত্তর পর্বে ‘চীন বা ভারতের মতো উঠতি মহাকাশ বিজয়ী দেশগুলোর সাথে একই পাল্লায় আমাদের দেশের প্রতিযোগিতা করা উচিত কিনা’ দর্শকের এমন প্রশ্নের জবাবে কাফি বলেন, ‘মহাকাশ গবেষণায় প্রচুর অর্থলগ্নির বিষয় আছে। বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা নয়, সমন্বয়ের পথ বেছে নিতে হবে।’