‘উদ্ভাবন’-এর গল্প শোনালেন তাসনিম ও কিশোয়ার

বৈশ্বিক সাহিত্য আর সাহিত্যিকদের নিয়ে আয়োজন হলেও ঢাকা লিট ফেস্ট সব ধরনের শিল্পের অভূতপূর্ব মেলা। চারদিনের আয়োজনের শেষ দিনে মানুষের বিপুল পদচারণা। চারদিনের এই উৎসবে ১৭৫টির বেশি সেশনে অংশ নিচ্ছেন পাঁচটি মহাদেশের পাঁচ শতাধিক বক্তা, শিল্পী ও চিন্তাবিদ। শেষ দিনে বাংলা একাডেমিতে ‘ইনোভেশন টক’ শিরোনামের সেশনে কথা বলেন মাস্টারশেফ কিশোয়ার চৌধুরী ও চিকিৎসক তাসমিন জারা।

অস্ট্রেলিয়ার মাস্টারশেফ ১৩তম সিজনে দ্বিতীয় রানারআপ হন কিশোয়ার চৌধুরী । মেলবোর্নে জন্মগ্রহণ ও বেড়ে ওঠা হলেও বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার রান্না নিয়ে আগ্রহ তার। নিজেই খাবার নিয়ে নিত্যনতুন  এক্সপেরিমেন্ট করেন। আলোচনায় নিজের উদ্ভাবনের নানা গল্প তুলে ধরেন কিশোয়ার চৌধুরী। 

তিনি বলেন, ‘যারা বাংলাদেশি খাবার খাননি, তারা বাংলাদেশের খাবার খেলে অবাক হয়ে যান। আমি রান্নার মূলমন্ত্র শিখেছি আমার নানি-দাদি, মায়ের কাছ থেকে। প্রতিনিয়ত আমি নতুন কিছু চেষ্টা করি। যতটা সময় পর্যন্ত পারফেক্ট মনে না হয় ততক্ষণ আমি বারবার চেষ্টা করি যাই।’
 
কিশোয়ার চৌধুরী বলেন, আমার রান্নার উপাদানগুলো আমাদের দেশীয়। যেগুলো আমাদের চারপাশে রান্না হচ্ছে, সেগুলোই রান্না করেছি।  আমি যেটাই রান্না করছি সেটাই খুব অথেনটিকলি করার চেষ্টা করেছি।

চিকিৎসক তাসনিম জারা ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লিনিকাল সুপারভাইজার হিসেবে স্নাতক ছাত্রদের পড়ান। যুক্তরাজ্য সরকার কর্তৃক 'ভ্যাকসিন লুমিনারি' হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি। তাসনিম জারা বলেন, ‘করোনায় নানা রকম ভুল তথ্য ছড়িয়েছে। তখন আমি করোনা নিয়ে ভিডিও পোস্ট করা শুরু করি। বাংলাদেশের বিভিন্ন  প্রান্ত থেকে মানুষ এই ভিডিও দেখছেন। আমি জেনেছি, চট্টগ্রাম, সিলেট, কিশোরগঞ্জসহ গ্রামগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় দেখেছেন এই ভিডিও। করোনা পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্য বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে কাজ চালিয়ে গিয়েছি।’

চিকিৎসক তাসনিম জারা বলেন, ‘দুই বছরেরও কম সময়ে আমার ভিডিওগুলো ১ বিলিয়ন মিনিটেরও বেশি সময় মানুষ দেখেছেন। মানুষ আমার ভিডিওগুলো দেখে উপকৃত হচ্ছেন, এটাই আমার সার্থকতা। আমি চেষ্টা করছি মানুষের দৈনন্দিন জীবনের বিষয়গুলো সহজভাবে উপস্থাপন করতে।’