কার বই পড়বো, ঠিক করবে কে?

বই পড়ে মানুষ নিজের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে। বই পড়ার ক্ষেত্রে পাঠককে নিজের রুচি সম্পর্কে অবগত থাকতে হয়। বই পড়ার ক্ষেত্রে একসময় নিজের পছন্দকেই গুরুত্ব দেওয়া হতো। বেশ কিছু দশক ধরে মানুষ বই পড়ছে ঐ বইয়ের ওপর লিখিত কোনও সাহিত্য সমালোচকের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে। বর্তমানে কোনও বই ক্রয় করার ক্ষেত্রে পাঠক বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট যেমন- গুড রিডস, গুগল রিডস, লাইব্রেরি রায়টস এ ঢুঁ মেরেই পছন্দের বইটা কেনেন।

ঢাকা লিট ফেস্টের সমাপনি দিনে বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান মিলনায়তনে ‘ইজ অ্যা বুক ওর্থ রিডিং: হু ডিসাইডস’ শীর্ষক আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক, গবেষক, অনুবাদক ড.ফকরুল আলম, ফরাসী ঔপন্যাসিক, অনুবাদক ফ্লোরেন্স নইভিল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ও গবেষক মাশরুর শাহীদ খান এবং গ্রাফিক নভেলিস্ট আন্তে কন। সঞ্চালনা করেছেন সারাহ আঞ্জুম বারী।

আলোচনার শুরুতেই ফকরুল আলম বলেন,  ‘আমি কিন্তু বইপোকা। আমি প্রচুর পরিমাণে রিভিউ পড়ি। বইয়ের সমালোচনা পড়ার বিষয়ে আমি সবসময় চেষ্টা করতাম বিশ্বমানের ম্যাগাজিন সংগ্রহ করার।’

সঞ্চালক ফকরুল আলমকে জিজ্ঞেস করেছিলেন রিভিউয়ের নির্ভরশীলতা কি পাঠকের জন্য সীমাবদ্ধতা? এর উত্তরে ফকরুল আলম বলেন, ‘যার কল্পনা শক্তি যত ভালো তিনি তত ভালো পাঠক হবেন। এক্ষেত্রে রিভিউ পড়লেও একই স্বাদই থাকবে।’

ফ্লোরেন্স নইভিল বলেন, ‘আমি শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক সাহিত্যের প্রতি ফোকাস করি। প্রথম দিকে বই নিয়ে আলোচনা, সমালোচনা নিজের জন্য করলেও পরবর্তীতে আমি ভালোভাবেই তা করি। এটাও একধরনের সাহিত্য।’

সঞ্চালক আন্তে কনের কাছে জানতে চেয়েছেন, কীভাবে তিনি গল্প তৈরি করেন। উত্তরে কন বলেন, ‘আমি বইয়ের স্পর্শ বিশ্বাস করি। আমি কোনও কিছু থেকে শিক্ষা নেওয়াকে বিশ্বাস করি। সেটা ম্যাগাজিন হোক, সমালোচনা হোক, কিংবা সাহিত্য হোক।’

মাশরুর শহীদ খান বলেন, ‘আমরা প্রকৃত পাঠক তৈরি করার জন্য নানান উদ্যোগ নিচ্ছি। জাতীয় শিক্ষা কার্যক্রমে নানান সমাজের, নানান জাতিস্বত্তার মানুষের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা করছি। এখানে একটা বিষয় বলতেই হয় যে, আমাদের বাংলাদেশের বাইরের সাহিত্যকে প্রাধান্য দিতেই হবে।’

মাশরুর শহীদ খানের সাথে যুক্ত হয়ে ফকরুল আলম বলেন, ‘যদিও আমি জাতীয় শিক্ষা কার্যক্রমের সদস্য নই। কিন্তু আমি যেখানেই যাই সেখান থেকে উপাদান সংগ্রহ করে কতৃপক্ষকে অবগত করি।’