বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ‘সমন্বিত’ অনীহায় ‘অসহায়’ শিক্ষামন্ত্রী

 

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শিক্ষামন্ত্রী (ফাইল ছবি)বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় আগ্রহী নয় বলে ‘অসহায়’ বোধ করছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। মঙ্গলবার বার্ষিক শিক্ষা জরিপের (অনলাইন) ২০১৬ এক কর্মশালা শেষে রাজধানীর পলাশীতে বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা গতবছর থেকেই সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা মেডিক্যাল কলেজের মত একসঙ্গে গুচ্ছ বা সমন্বিত আকারে নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তের কারণে তখন তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। ফলে তখনই সিন্ধান্ত হয়েছিল ২০১৬ থেকেই এই পদ্ধতি চালু করা হবে। কিন্তু এবারও তা সম্ভব হলো না।’
কেন সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে না, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এভাবে পরীক্ষা নিতে রাজি নয়। তারা না চাইলে কিছু করার থাকেনা, আমরা অসহায়। তবে এটা ঠিক এই পদ্ধতি চালু হলে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ অনেক কমে যেত। বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা টাকা দেই ঠিকই কিন্ত তাদের উপর কোনও সিদ্ধান্ত চাপাতে পারি না। তারা না চাইলে আমরাও তাদের জোর করতে পারিনা। কারণ তারা স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান।’
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা তাদের সুপারিশ করেছিলাম যে সমন্বিত না নিতে পারেন গুচ্ছ আকারে পরীক্ষা নেন। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একসঙ্গে, ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একসঙ্গে, সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একসঙ্গে পরীক্ষার ব্যবস্থাও তারা করতে পারতো, তাও তারা করছে না।’

সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে এবছর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গতবছর প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছিল এবছর গুচ্ছ অথবা সমন্বিত পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে। কিন্তু সেই আলোচনার আগেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের সংগঠন উপাচার্য পরিষদ ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করে দিয়েছে। তাহলে আর আলোচনা কিভাবে করবো?’ আগামীবছর এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব কিনা সে বিষয়েও তিনি স্পষ্ট কিছু বলতে পারেননি।

প্রসঙ্গত, গত ১৮ আগস্ট এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। ফলাফল ঘোষণা করার পরই ‘এবছরও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা সমন্বিত আকারে নেওয়া হচ্ছে না’ এমন শিরোনামে বাংলা ট্রিবিউনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

/আরএআর/এমও/