সভায় বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ, ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ, আযাদ দ্বীনি এদারায়ে তা’লিম বাংলাদেশ, তানজিমুল মাদারিস আদ-দ্বীনিয়া বাংলাদেশ, গওহর ডাঙ্গা বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া বাংলাদেশ এবং জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বাংলাদেশ-এর প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
সভার শুরুতেই বেফাক সভাপতির প্রেসসচিব মাওলানা মুনির আহমদ গত ২৩ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া শাহ আহমদ শফীর ৬ পৃষ্ঠার চিঠির কপি পড়ে শোনান। এরপর এই চিঠির আলোকে কওমি বোর্ড প্রতিনিধিরা নিজদের বক্তব্য তুলে ধরেন। সভা পরিচালনা করেন ঢাকা খিলগাঁও মাখজানুল উলুম মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা নূরুল ইসলাম।
বৈঠকে বেফাক সভাপতি আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেন, ‘সরকার কওমি সনদকে মান দিতে চাইলে কোনও কমিশন, নীতিমালা ও নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে মান দিতে পারে। তবে সনদ স্বীকৃতির নামে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কোনও রকম সরকারি নিয়ন্ত্রণ আরোপের চেষ্টা আমরা মেনে নেব না।
আহমদ শফী বলেন, ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের মতো সনদের মান দিতে সরকার রাজি না হলে, ইংরেজ শাসনামল থেকে এ পর্যন্ত কওমি মাদ্রাসাগুলো জনগণের সাহয্য-সহযোগিতা ও সমর্থন নিয়ে যেভাবে চলে আসছে, সেভাবেই চলবে। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় প্রতিটি নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতা রয়েছে। নাগরিকরা ধর্ম কিভাবে পালন করবেন, কিভাবে শিখবেন, কিভাবে শেখাবেন, তাতে সবার স্বাধীনতা রয়েছে। এই স্বাধীনতায় রাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করতে পারে না। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় নাগরিকদের শিক্ষার্জনের স্বাধীন অধিকারে রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই।’
/সিএ/এমএনএইচ/