গুণগত শিক্ষাই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ: শিক্ষামন্ত্রী

২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে একীভূত ও গুণগত শিক্ষা লাভে নয়টি দেশের সমন্বয়ে শুরু হওয়া ই-নাইন বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ‘গুণগত শিক্ষাই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।’ রবিবার ঢাকার হোটেল র্যা ডিসন ব্লুতে ৩ দিনব্যাপী ই-নাইন মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের বাংলাদেশ সেশনে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।

সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রীগুণগত শিক্ষার মূল বাধা আমাদের এখানে এখনও দক্ষ শিক্ষক তৈরি হয়নি উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিয়েছি দক্ষ শিক্ষক তৈরি করতে। বাংলাদেশে আমরা একীভূত শিক্ষা শুরু করেছি। নৃগোষ্ঠীদের জন্য পাঁচটি ভাষার বই প্রথমবারের মতো দেওয়া হয়েছে। ঝরে পড়া রোধ করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। তবে এখনও ফল আশানুরূপ নয়।’

উচ্চশিক্ষার বিষয়ে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘উচ্চ শিক্ষায় মেয়েদের উপস্থিতি এখনও আশানুরূপ নয়। বর্তমানে ২৫ শতাংশ নারী উচ্চশিক্ষা নিচ্ছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী বেড়েছে। শিক্ষায় নারী-পুরুষের সমতা আনতে হবে।’

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেওয়া ই-নাইন সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ছিলেন- ইউনেস্কোর ডাইরেক্টর জেনারেল ইরিনা বোকোভা, চীনের শিক্ষার ভাইন মিনিস্টার লি জিয়াওহং, মিশরের শিক্ষা ও কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী ড. আল-হেলালি আল-শেরবি আল-হেলালি, ভারতের শিক্ষামন্ত্রী উপেন্দ্র কিশোর, ইন্দোনেশিয়ার শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ও উন্নয়ন বিষয়ক চেয়াররম্যান টোটো সুপ্রায়ান্ত, নাইজেরিয়ার শিক্ষামন্ত্রী এন্থনি গোজি আনওয়াক, পাকিস্তানের শিক্ষামন্ত্রী মো. বালিজুর রেহমান, ব্রাজিলের শিক্ষামন্ত্রীর প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত ওয়ানজা ক্যামপস দ্য নোবিগা।

সম্মেলনে সদস্য দেশগুলোর শিক্ষামন্ত্রীরা ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার শিক্ষা বিষয়ক ‘এসডিজি-৪’ লক্ষ্য অর্জনে অঙ্গীকার ঘোষণা করেন। এই সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ দুই বছরের জন্য ফোরামের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান। এর আগের দুই বছর মেয়াদে ই-নাইনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন পাকিস্তানের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মুহাম্মদ বালিঘ-উর-রহমান। এর আগে, সকালে এই সম্মেলন উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে এবারই প্রথম এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

/এসএমএ/এমও/