ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে প্রশাসন। তবে এই কমিটি প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার বিকালে শিক্ষার্থীরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, তারা প্রয়োজনে অনশন কর্মসূচিতে যাবেন। এখন থেকে ভবনের নিচতলাতেই অব্যাহতভাবে কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন তারা।
এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ে সিকিউরিটি গার্ড ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। সিকিউরিটি গার্ডরা ছাত্রদের জোর করে বের করে দিতে চাইলে এ ঘটনা ঘটে। এসময় পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফারহান উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ওরা (বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ) চাচ্ছে পরিস্থিতি খারাপ করে আমাদের ওপর দায় চাপাতে। ওদের ফাঁদে আমরা পা দেবো না। ওরা শিক্ষার্থীদের হেনস্থা করেছে, মারধর করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করছে।’
হেনস্থার শিকার এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘সিকিউরিটি গার্ডরা অশালীনভাবে আমার শরীরের কাপড়-চোপড় টেনে ধাক্কা মেরে বের করে দিয়েছে।’ একই অভিযোগ করেন আরেক শিক্ষার্থীও।
উল্লেখ্য, গত রবিবার (৩০ জুলাই) ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মাহমুদ শাহুল আফজাল ও সহকারী রেজিস্ট্রার মো. মাহিউদ্দিন ও জাভেদ রাসেলের বিরুদ্ধে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ল বিভাগের শিক্ষক ফারহান উদ্দিন আহম্মেদকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। গত রবিবার (৩০ জুলাই) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসে এ ঘটনা ঘটে।
- অবরুদ্ধ ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির উপাচার্য
- ব্র্যাকের পরিস্থিতি তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি
- ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে মারধর করলেন রেজিস্ট্রার!
/এসএস/এমও/