শিক্ষার্থীদের সব দাবিই মেনে নিলো ব্র্যাক

শিক্ষার্থীদের ৪ দফা দাবির মধ্যে গতকাল শনিবার তিনটি দাবি মেনে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার পর একদিন পর বাকি দাবিটিও মেনে নিয়েছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। রবিবার বিকালে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে ২নং ভবনের সামনে জড়ো হন শিক্ষার্থীরাশিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী, পূর্বনির্ধারিত পরীক্ষার রুটিন বাতিল করে নতুন করে রুটিন প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এর আগে, রেজিস্ট্রারকে বরখাস্তসহ অন্য দাবির মধ্যে ছিল, পূর্ব নির্ধারিত ৬ আগস্ট (রবিবার) থেকে অনুষ্ঠিতব্য সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা রুটিন বাতিল করে নতুন রুটিন দিয়ে পরীক্ষা নিতে হবে। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে গতকাল শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে ৪ দাবির মধ্যে এই একটি বাদে বাকিগুলো মেনে নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন উপাচার্য সৈয়দ সাদ আন্দালিব। কিন্তু এতে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হননি শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘এক সপ্তাহের আন্দোলনের কারণে আমরা পড়াশোনা করতে পারিনি। ফলে পরীক্ষার নতুন করে রুটিন দিতে হবে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ অন্য দাবি মেনে নিলেও রবিবার থেকে পরীক্ষা হবে বলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করায় আমরা ক্ষুদ্ধ।’ এ কারণে রবিবার সকালে পুর্বনির্ধারিত পরীক্ষার রুটিন বাতিল করে নতুন রুটিনের দাবিতে ক্যাম্পাসের ২নং ভবনের সামনে আবার জড়ো হন শিক্ষার্থীরা।

এ ঘটনার দুই ঘণ্টা পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়টির ওয়েবসাইটে পূর্ব নির্ধারিত পরীক্ষার রুটিন বাতিল করে নতুন রুটিন প্রদান করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। নতুন রুটিন অনুযায়ী আগামী ৯ আগস্ট থেকে পরীক্ষা শুরু হবে।

নতুন রুটিন প্রদান করার পর আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী ইথার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নতুন রুটিন দিয়েছে, আমরা খুশি। আজ থেকে আর কোনও কর্মসূচি থাকবে না। এখন পরীক্ষার প্রস্তুতি নেব, আর তদন্ত রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করবো। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর দেখা যাবে আন্দোলন কনটিনিউ হবে নাকি বাতিল হবে।’

উল্লেখ্য, গত রবিবার (৩০ জুলাই) ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মাহমুদ শাহুল আফজাল ও সহকারী রেজিস্ট্রার মো. মাহিউদ্দিন ও জাভেদ রাসেলের বিরুদ্ধে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ল বিভাগের শিক্ষক ফারহান উদ্দিন আহম্মেদকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার জেরেই আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: শিক্ষক ফারহানের অব্যাহতিপত্র প্রত্যাহার, লম্বা ছুটিতে রেজিস্ট্রার

/আরএআর/এমও/