ঢাবিতে ঘৃণাস্তম্ভ ‘রাজাকার’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘রাজাকার’ নামের ঘৃণাস্তম্ভে জুতা নিক্ষেপ (ছবি: বাংলা ট্রিবিউন)ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভবনের সামনে গড়া হয়েছে ‘রাজাকার ঘৃণাস্তম্ভ’। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টায় এর উদ্বোধন হলো।

বিজয় নামের একটি সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে ঘৃণাস্তম্ভটি। উদ্বোধনের পর এর দিকে জুতা নিক্ষেপের পাশাপাশি দেওয়া হয় ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় রাজাকারের ঠাঁই নাই’ স্লোগান। এখানে ঢাবি’র সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের বেশ কয়েকজন ছিলেন।
ঘৃণাস্তম্ভ উদ্বোধনের আয়োজনে অংশ নিয়েছেন ঢাবি’র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা নবাব স্যার সলিমুল্লাহ’র দৌহিত্র নবাব আলী হাসান আসকারী, বিজয় সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মোহাম্মদ আজমী ও সাধারণ সম্পাদক তারেক রায়হান, ২০০৮ সালে জামায়াত-শিবিরের হাতে লাঞ্ছনার শিকার মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোহাম্মদ আলী আমান, রাজনৈতিক কর্মী আবু ইউসুফ সুলতান প্রমুখ।

ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ও সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও ব্যস্ততার জন্য তারা আসতে পারেননি বলে জানান উদ্যোক্তারা।

২০০৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাতে ঘৃণাস্তম্ভটি প্রথম নির্মাণ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের ছয়জন সেক্টর কমান্ডার ও ১৩ জন সাব-সেক্টর কমান্ডার এটি উদ্বোধন করেন। পরের বছর ঢাবি ছাত্রশিবিরের তৎকালীন কর্মীরা রাতের আঁধারে সেটি ভেঙে ফেলে। ২০১০ ও ২০১৩ সালে আরও দু’বার স্তম্ভটি পুনঃনির্মাণ করা হলেও দুর্বৃত্তরা সেগুলো ভেঙে দেয়।

বিজয় সংগঠনের সদস্য ঢাবি’র প্রাক্তন শিক্ষার্থী আবু তৈয়ব হাবিলদার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মুক্তিসংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশে রাজাকাররা দেশের শত্রু। তাদের আমরা ঘৃণা করি। তাদের প্রতিরোধ করতে হলে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। এই ঘৃণাস্তম্ভ সেই পদক্ষেপেরই অংশ।’