শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি শিক্ষকদের ১৬ সংগঠনের

স্বাধীনতা শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের নেতারা (ছবি: বাংলা ট্রিবিউন)বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের চার দফা দাবি আদায়ে গৃহীত কর্মসূচি ঘোষণা করেছে স্বাধীনতা শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশন। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে এগুলো তুলে ধরা হয়। এ বছরের এপ্রিলের মধ্যে বৈশাখী ভাতা প্রদান, অবিলম্বে ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট, পূর্ণাঙ্গ উৎসবভাতাসহ শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ চায় সংগঠনটি।

ফেডারেশনের প্রধান সমন্বয়কারী শাহজাহান আলম সাজু বলেন, ‘স্বাধীনতার ৪৭ বছরের মধ্যে আওয়ামী লীগের ১৭ বছরে যা অর্জন তা বাকি ৩০ বছরে কেউ করতে পারেনি। এখনও বেসরকারি খাতে অনেক বৈষম্য বিদ্যমান রয়েছে। শিক্ষার উন্নয়নের স্বার্থে এগুলো দূর করা জরুরি।’

সংগঠনটির প্রধান সমন্বয়কারী আরও বলেন, ‘৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি, বৈশাখী ভাতা, পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, বাড়ি ভাড়া, টাইমস্কেল, কলেজ শিক্ষকদের অনুপাত প্রথা বাতিল, হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকদের স্কেল বৈষম্য, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকদের জাতীয় স্কেল প্রদান প্রভৃতি সমস্যার কারণে গোটা শিক্ষার উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা মনে করি, শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণই এসব সমস্যার সমাধান। তাই আমরা শিক্ষকদের ১৬টি সংগঠন নিয়ে এই ফেডারেশন গঠন করেছি।’

ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে আগামী ১৪ থেকে ১৮ জানুয়ারি দেশব্যাপী স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গণসংযোগ করবে স্বাধীনতা শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশন। ২১ জানুয়ারি সারাদেশে উপজেলা পর্যায়ে মানববন্ধন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করবে সংগঠনটি। এরপর ২৫ জানুয়ারি প্রতি জেলায় মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেবেন শিক্ষক নেতারা।

জানা যায়, আগামী ২৭ জানুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে তাদের গোলটেবিল বৈঠক। এরপর ৩ মার্চ ঢাকায় জাতীয় প্রতিনিধি সভা থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানায় স্বাধীনতা শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশন।