অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ইবতেদায়ি মাদ্রাসার ১০৬ জন শিক্ষক

অনশনরত ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকরা (ছবি: আদিত্য রিমন)চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) চতুর্থ দিনের মতো অনশন করছেন ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকরা। এই চার দিনে ১০৬ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে দাবি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির।

শুক্রবার সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ৭ জন শিক্ষক চিকিৎসাধীন আছেন। অনশনস্থলে অসুস্থ হয়ে পড়ায় স্যালাইন দেওয়া আছে ১৮ জনকে। এর বাইরে সুস্থ হওয়ায় ঢামেক থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে তিন জনকে। বাকিরা অসুস্থতার কারণে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

গত ৯ জানুয়ারি দুপুর ১২টা থেকে চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে অনশন শুরু করেন ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকরা। এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোনও আশ্বাস পাননি তারা।

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি কাজী রুহুল আমিন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, চাকরি জাতীয়করণের ঘোষণা না আসা পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। তিনি বলেন, ‘৩৪ বছর বিনাবেতনে চাকরি করে যাচ্ছি। আমাদেরও পরিবার আর ছেলেমেয়ে আছে। এখন আর পারছি না। আমরা যে মানবেতর জীবনযাপন করছি, সরকার কি সেই খোঁজ নিয়েছে? সরকারকে আমাদের চাকরি জাতীয়করণ করতে হবে, না হয় মেরে ফেলতে হবে।’

অনশনরত ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকরা (ছবি: আদিত্য রিমন)অনশনরত শিক্ষকরা বলছেন, ‘ইবতেদায়ি মাদ্রাসার সব কার্যক্রম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো হলেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বেতন-ভাতা পেলেও ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকরা তেমন কিছুই পান না। দিন দিন বাসা বাড়া থেকে শুরু করে নিত্যপণ্যসহ সবকিছুর দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাহলে আমরা কীভাবে বাচঁবো?’

সংগঠনের পক্ষ থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে— ১৯৯৪ সাল থেকে একই পরিপত্রে নিবন্ধিত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকদের বেতন ৫০০ টাকা করা হয়। এরপর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি পায় ধাপে ধাপে। ২০১৩ সালে ৯ জানুয়ারি মহাজোট সরকার ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেন। কিন্তু স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি কিংবা জাতীয়করণ কোনোটিই হয়নি।