কিছু প্রক্রিয়া শেষে কওমি স্বীকৃতি অফিসিয়ালি হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

 

রাজধানীর খিলগাঁওয়ে ‘ইক্বরা জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বাংলাদেশ’ আয়োজিত প্রতিনিধি সম্মেলন ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা সনদের স্বীকৃতির জন্য একটি  আইন তৈরি করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, ‘কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে। প্রক্রিয়াগুলো একের পর এক করতে হবে। প্রক্রিয়া শেষ হলে স্বীকৃতি অফিসিয়ালি হবে।’  শনিবার (৩ মার্চ) রাজধানীর খিলগাঁওয়ে ‘ইক্বরা জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বাংলাদেশ’ আয়োজিত প্রতিনিধি সম্মেলন ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আলেমদের ভালোবাসেন।  তিনি পাক্বা মুসলমান, ইমানদার। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন।  তাহাজ্জুতের নামাজ, সকালে কোরআন তেলাওয়াত করেন। এ মানুষের মাধ্যমে বাংলাদেশ চলছে। কাজেই আলেমরা তার কাছে সম্মানীয়। তিনি আলেমদের কথা মন দিয়ে শোনেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘যখন জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটে সারা পৃথিবীতে, যখন তছনছ হয়ে যাচ্ছে সব, তখন যেখানেই যেতাম, সবাই আমাদের শুনিয়ে শুনিয়ে বলতো, অল হিউম্যান আর নট টেরোরিস্ট, বাট অল টেরোরিস্ট আর মুসলিম। মাথা হেট হয়ে যেত। সারা পৃথিবীতে ইসলাম ধর্মকে কলঙ্কিত করার জন্য এ ষড়যন্ত্র চলছে। এই ধর্মে জঙ্গি উত্থান হতে পারে না। এ ধরনের ষড়যন্ত্র যারা করে, তারা মুসলমান নয়।’ 

আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘জঙ্গি দমনে আমরা সবাই এক হয়েছি। এ দেশ অসাম্প্রদায়িক, সম্প্রীতির দেশ। যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে।’

কওমি স্বীকৃতির ঘোষণার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন জাতীয় দ্বীনি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ। তিনি বলেন,  ‘প্রধানমন্ত্রীর প্রজ্ঞায় আহমদ শফীর মতো লোকও  স্বীকৃতির জন্য বসছেন। তিনি বলেন, ‘স্বীকৃতি ঘোষণার সময় তাড়াহুড়ার কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যে প্রজ্ঞাপন হয়েছিল, সেখানে অনেক বৈষম্য হয়েছে, গোঁজামিল রয়ে গেছে। এখন আইন করতে গিয়ে এসব গোঁজামিল দূর করতে হবে।’

ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, ‘মাদ্রাসার মধ্যে কোনও জঙ্গিবাদ নেই, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন ঘোষণায় আলেমরা আশ্বস্ত হয়েছেন। এজন্য আলেমরা নিরাপদে আছি।’

অনুষ্ঠানে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীরসহ বিভিন্ন কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্ররা উপস্থিত ছিলেন।