X
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪
৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

‘জলবায়ুর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবুজায়ন ও জলাধার রক্ষার বিকল্প নেই’

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট  
০৪ মে ২০২৪, ১৭:১১আপডেট : ০৪ মে ২০২৪, ১৭:১১

তাপপ্রবাহ, পরিবেশ ও জলবায়ুর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবুজায়ন বৃদ্ধি, খোলা স্থান ও জলাধার রক্ষার কোনও বিকল্প নেই বলে মনে করেন দেশের বিশিষ্টজনরা। একইসঙ্গে দেশের তাপপ্রবাহ মোকাবিলায় নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে বিভিন্ন অংশীজনের সমন্বয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রতিরোধে পরিকল্পনা তৈরি করা জরুরি বলেও মনে করেন তারা।

শনিবার (৪ মে) দেশের সম্পাদকদের শীর্ষ সংগঠন এডিটরস গিল্ডের ‘তাপপ্রবাহ-পরিবেশ-জলবায়ুর চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথা বলেন তারা।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, আমাদের পরিকল্পনাহীন নগরায়নের কারণে শহর যেমন বসবাস অনুপোযোগী হয়ে উঠছে, অনুরূপ গ্রামগুলোও শহরকে অনুকরণ করতে গিয়ে অপরিকল্পিত হয়ে উঠছে। একটি সুস্থ বাসযোগ্য শহরে যেসব উপাদান থাকা প্রয়োজন তা এখনও শহরের মানুষ ও নগর কর্তৃপক্ষ অনুধাবন করতে বিলম্ব করছেন।

নগরের ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে তাপমাত্রার বিষয়টি খেয়াল রাখা হয় না জানিয়ে তারা বলেন, একটি ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে, পুরোটা কাচ দিয়ে ঢাকা। কাচগুলোও তাপ শোষণে উপযোগী না, কেবল সৌন্দর্য বর্ধনশীল সাধারণ কাচ। এগুলো একদিকে সূর্যের তাপকে প্রতিফলিত করে বাহিরের তাপ বাড়াচ্ছে, আবার ভেতরে কোনও বাতাস চলাচলের সুযোগ রাখছে না। এতে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত করা হচ্ছে ভবনগুলো, যা বাহিরে আরও তাপের সৃষ্টি করে। অর্থাৎ ভবনগুলো পরিবেশে দ্বিগুণ তাপের সৃষ্টি করছে। এর জন্য নগরে ভবন নির্মাণে পরিবেশ অধিদফতরের সঙ্গে যে সমন্বয় তা করছে না কেউ। রাজউক এমনিতেই অনুমোদন দিয়ে দিচ্ছে। যেখানে খোলা স্থান রয়েছে সবখানে সৌন্দর্য বর্ধনের নামে বিভিন্ন কংক্রিটের স্থাপনায় ঢেকে দেওয়া হচ্ছে। আধুনিকতার নামে গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে।

বিশিষ্টজনরা বলেন, বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৫ শতাংশ কার্বণ নিঃসরণ কমাতেই হবে। তবে তা কার্যকর হচ্ছে না। পরিবেশ সুরক্ষায় নেওয়া নীতিগুলো বাস্তবায়ন না হলে তীব্র গরমে দুর্যোগ বাড়তে থাকবে, যদিও জলবায়ু পরিবর্তনে আমরা দায়ী না হলেও এর ক্ষতির শিকার। তাই আমাদের নিজেদের নিয়ে ভাবতে হবে।

এডিটরস গিল্ডের সভাপতি ও একাত্তর টিভির প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবুর সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন পানিসম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত, অর্থনীতিবিদ ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিকসের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.এম. শহিদুল ইসলাম, অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবীর, পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক (বায়ুমান ব্যবস্থাপনা) মো. জিয়াউল হক, স্থপতি ও নগরপরিকল্পনা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক রফিক আজম, নগরবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব।

/জেডএ/আরআইজে/
সম্পর্কিত
খুলনা অঞ্চলে কৃষিতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাববাড়ছে তাপমাত্রা, কমছে কৃষি উৎপাদন
সবুজ জলবায়ু তহবিলের মূলনীতি অগ্রাহ্য হচ্ছে: টিআইবি
শান্তি চুক্তি হলেও পাহাড়ে এখনও আস্থা তৈরি হয়নি
সর্বশেষ খবর
আমেরিকা যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি
আমেরিকা যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি
হামলার শিকার স্লোভাক প্রধানমন্ত্রীর আরও একটি অস্ত্রোপচার
হামলার শিকার স্লোভাক প্রধানমন্ত্রীর আরও একটি অস্ত্রোপচার
মুম্বাইয়ের হারের পর নিষেধাজ্ঞার কবলে হার্দিক
মুম্বাইয়ের হারের পর নিষেধাজ্ঞার কবলে হার্দিক
বিকল্প অর্থনীতি ও গ্রাম্য কায়কারবার
উপন্যাসবিকল্প অর্থনীতি ও গ্রাম্য কায়কারবার
সর্বাধিক পঠিত
অতিরিক্ত ডিআইজি মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ ইসির
অতিরিক্ত ডিআইজি মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ ইসির
ত্বক তারুণ্যদীপ্ত দেখানোর ৮ টিপস 
ত্বক তারুণ্যদীপ্ত দেখানোর ৮ টিপস 
যাত্রীর জামাকাপড় পুড়িয়ে পাওয়া গেলো সাড়ে চার কোটি টাকার স্বর্ণ
যাত্রীর জামাকাপড় পুড়িয়ে পাওয়া গেলো সাড়ে চার কোটি টাকার স্বর্ণ
কাশ্মির সীমান্তের দুই দিকে বিপরীত দুই দৃশ্য
কাশ্মির সীমান্তের দুই দিকে বিপরীত দুই দৃশ্য
ইসরায়েলগামী অস্ত্রের জাহাজ নোঙর করতে দেয়নি স্পেন
ইসরায়েলগামী অস্ত্রের জাহাজ নোঙর করতে দেয়নি স্পেন