এর আগে মঙ্গলবার সকালে শহীদ রাজুর ম্যুরালে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। বাংলাদেশ প্রগতিশীল ছাত্রজোট, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, রাজু সংসদ ছাড়াও এ সময় ছিলেন রাজুর সঙ্গে মিছিলে থাকা তার সাথীরা।
মিছিল শেষে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি জিএম জিলানী শুভ বলেন, ‘শহীদ রাজুর স্বপ্ন ছিল ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করা। কিন্তু তার সেই স্বপ্ন আজও পূরণ হয়নি।’
রাজু হত্যার বিচার চেয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন। একইসঙ্গে ১৩ মার্চকে রাজু দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানায় সংগঠনটি। সমাবেশে সঞ্চালনা করেন ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবি শাখা সভাপতি তুহিন কান্তি দাস।
ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী বলেন, ‘রাজু শুধু একটি নাম নয়, রাজু একটি আদর্শ চেতনার নাম। তার অবস্থান ছিল সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। সেই সন্ত্রাস আর দখলদারিত্ব এখনও কমেনি। রাজু এসব সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে জীবন দিয়ে গেছে। তাই এই ক্যাম্পাসে অসংখ্য রাজুকে প্রয়োজন।’
১৯৯২ সালের ১৩ মার্চ গণতান্ত্রিক ছাত্র ঐক্যের সন্ত্রাসবিরোধী মিছিল চলাকালে ক্যাম্পাসের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তৎকালীন ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের মধ্যে গোলাগুলি চলে। তখন মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়া বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতা মঈন হোসেন রাজু গুলিতে নিহত হন।
রাজুসহ শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসবিরোধী আন্দোলনের সব শহীদের স্মরণে ১৯৯৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ছাত্র-শিক্ষক-কেন্দ্রে (টিএসসি) গড়ে তোলা হয় রাজু ভাস্কর্য।