নতুন ৬২৬ স্কুল-কলেজ জাতীয়করণে মন্ত্রণালয়ের বাড়তি চাহিদা ৯৭৬ কোটি টাকা

শিক্ষা মন্ত্রণালয়নতুন সরকারি করা ৬২৬টি স্কুল ও কলেজের জন্য ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের বাজেটে ৯৭৬ কোটি ৩৪ লাখ ২৩ হাজার টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। নির্ধারিত ব্যয়সীমা (সিলিং) ২৫ হাজার ৪৬২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ছাড়াও অতিরিক্ত এই অর্থ বরাদ্দ চেয়ে সম্প্রতি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ে। প্রস্তাবিত অতিরিক্ত বরাদ্দসহ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের চাওয়া মোট বরাদ্দ ৩০ হাজার ৪৩৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এবার আমাদের বাজেট অনেক বেশি। আমরা অনেক বেশি বরাদ্দ পাবো বলে আশা করছি।’
মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ ফেব্রুয়ারি পাঠানো প্রস্তাবনায় ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে মোট ৬২৬টি স্কুল ও কলেজের জন্য বাড়তি বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে ৯৭৬ কোটি ৩৪ লাখ ২৩ হাজার টাকা। এর মধ্যে ৩২৭টি বিদ্যালয়ের জন্য ৩৪৯ কোটি ৪০ লাখ ৬০ হাজার এবং ২৯৯টি কলেজের জন্য ৬২৬ কোটি ৯৩ লাখ ৬৩ হাজার টাকা বেশি চাওয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগের সম্প্রতি পাঠানো প্রস্তাবে আগামী বাজেটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিচালনা ও উন্নয়ন খাতের জন্য মোট বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে ৩৬ হাজার ২৩২ কোটি ৫৪ লাখ ২৩ হাজার টাকা। এর মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের জন্য চাওয়া হয়েছে মোট ৩০ হাজার ৪৩৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের জন্য নির্ধারিত ব্যয়সীমা অনুযায়ী বরাদ্দ চাওয়া হয় মোট ২৫ হাজার ৪৬২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে পরিচালনা ব্যয় বাবদ চাওয়া হয়েছে ১৮ হাজার ৪৩০ কোটি তিন লাখ টাকা। আর উন্নয়ন ব্যয় বাবদ চাওয়া হয়েছে সাত হাজার ৩২ কোটি ৭১ লাখ টাকা।
উল্লেখ্য, ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের বাজেটে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল ২৩ হাজার ১৪৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী প্রধান (পরিকল্পনা শাখা) মোল্লা মো. আনিসুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, নির্ধারিত ব্যয়সীমা ২৫ হাজার ৪৬২ কোটি ৭৪ লাখ টাকার বাইরে এবার অতিরিক্ত বরাদ্দ চাওয়া হয় মোট চার হাজার ৯৭১ কোটি ৬০ লাখ ২৩ হাজার টাকা। এর মধ্যে চলমান ৬২টি প্রকল্পের জন্য উন্নয়ন ব্যয় বাবদ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে তিন হাজার ৯৯৫ কোটি ২৬ লাখ টাকা। আর পরিচালনা ব্যয় বাবদ চাওয়া হয়েছে ৯৭৬ কোটি ৩৪ লাখ ২৩ হাজার টাকা। পরিচালনা ব্যয় বাবদ এই অর্থ চাওয়া হয়েছে নতুন সরকারি করা ৬২৬টি স্কুল ও কলেজের বেতনভাতাসহ আনুষাঙ্গিক কাজে।
অন্যদিকে, কারিগরি ও মাদ্রসা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে নির্ধারিত ব্যয়সীমা (সিলিং) অনুযায়ী পাঁচ হাজার ৭৯৮ কোটি দুই লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। এর বাইরে অতিরিক্ত কোনও বরাদ্দ চাওয়া হয়নি।