শিক্ষক অপসারণ: সোমবার ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা জবি শিক্ষার্থীদের

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন (ছবি: সাদ্দিফ অভি)

গবেষণায় জালিয়াতের অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক অধ্যাপক নাসির উদ্দিন আহমেদকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ৭৭তম সিন্ডিকেট সভায় চাকরিচ্যুত করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার (৩০ এপ্রিল) ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। চাকরিচ্যুত শিক্ষককে পুনরায় সসম্মানে পদ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে রবিবার (২৯ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন তারা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, “যে অভিযোগের ভিত্তিতে অধ্যাপক নাসির উদ্দিন আহমেদকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলক ও অবৈধ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের ঘটনায় প্রথম তদন্ত কমিটিতে জবি’র কোনও শিক্ষক ছিলেন না। এই তদন্ত কমিটির প্রত্যেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিশেষ গ্রুপের সদস্য। প্রথম কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব প্রসঙ্গে নিজের পক্ষে জোরালো যুক্তিসহ অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত করেন তিনি। প্রথম তদন্ত কমিটি তদন্তের ফলাফল সংক্রান্ত কোনও কিছুই তার কাছে পাঠায়নি, এমনকি তার কোনও বক্তব্য নেয়নি।”

ছাত্রছাত্রীরা জানান, দ্বিতীয় তদন্ত কমিটির কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে অধ্যাপক নাসির উদ্দিন নিজের পক্ষে যুক্তি খণ্ডন করেন ও অভিযোগের যথার্থ জবাব দেন। এর পাশাপাশি অভিযোগের প্রয়োজনীয় নথি সরবরাহ করেন। শিক্ষার্থীদের দাবি, তদন্ত কমিটি তাকে শুনানিতে ডাকলেও তার কোনও বক্তব্য শুনতে চায়নি কিংবা তার কোনও যুক্তি আমলে নেয়নি।

জবি শিক্ষার্থীদের মন্তব্য—‘সম্প্রতি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দ্বিতীয় কারণ দর্শানো নোটিশের বক্তব্য আংশিক উদ্ধৃতি করে তাকে উগ্রভাবে প্রতীয়মান করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলক ও মানহানির শামিল। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’

নিজেদের দাবি প্রসঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘নাসির উদ্দিন স্যারকে সসম্মানে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরিয়ে এনে তাকে তার পদ ফিরিয়ে দিতে হবে। আমরা তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেবো। পাশাপাশি আগামীকাল ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের দাবি না মানা হলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।’