প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হবে। এ প্রসঙ্গ টেনে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, ‘আজকের (রবিবার) মধ্যে ওই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন না ঘটলে আগামীকাল সকাল ১০টা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষকরা আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করবেন। এতে যেকোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার দায় সরকারকেই নিতে হবে।’
নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. বিনয় ভূষণ রায় বলেন, ‘সারা দেশে পাঁচ হাজারের বেশি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে ২০ লাখের বেশি শিক্ষার্থীদের বিনা বেতনে পাঠদান করে অত্যন্ত কষ্টকর ও মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অনেকের চাকরির মেয়াদ আছে ৫ থেকে ১০ বছর। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা উন্নয়নবঞ্চিত অবস্থায় রয়েছেন।’
এই অধ্যক্ষ মনে করিয়ে দিলেন, গত ১২ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল-কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ জারি করা হয়েছে। তিনি মনে করেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদানের অনুমতি ও স্বীকৃতির সময় আরোপিত শর্তের সঙ্গে এই নীতিমালা সাংঘর্ষিক। তার কথায়, ‘২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য বরাদ্দের কোনও সুস্পষ্ট ঘোষণা নেই। ফলে নন-এমপিও শিক্ষক কর্মচারীরা অত্যন্ত হতাশ ও আশাহত হয়ে পড়েছেন।’
কিন্তু অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের যে বাজেট প্রস্তাব করেছেন, সেখানে নতুনভাবে এমপিওভুক্তির বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে কিছু বলা হয়নি। এ কারণে এমপিওভুক্তির দাবিতে শিক্ষকরা আবারও রাজপথে নামেন। ১২ দিনের অবস্থান কর্মসূচির পর তারা আবারও কর্মসূচি ঘোষণা করেন। রবিবারের (২৪ জুন) মধ্যে কোনও অগ্রগতি না দেখলে সোমবার থেকে আমরণ অনশনে যাবেন শিক্ষকরা।