ভিটিআইয়ের বাদ পড়া ১৬৬ প্রশিক্ষক-কর্মকর্তা রাজস্ব খাতে যাচ্ছেন

শিক্ষা মন্ত্রণালয়উচ্চ আদালতের নির্দেশনার পর অবশেষে প্রকল্পের আওতায় নিয়োগ পাওয়া ভোকেশনাল টিচার ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (ভিটিআই) বাদপড়া ১৬৬ জন প্রশিক্ষক-কর্মকর্তা রাজস্ব খাতে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবটি প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় অনুমোদন পেয়েছে। ভিটিআই বর্তমানে টিটিসি (টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার)।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও উন্নয়ন) এ. কে. এম. জাকির হোসেন ভুঞা এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, দেশে দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। রাজস্বখাতে স্থানান্তর বাদ পড়াদের জন্য পদ সৃষ্টি করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়।  

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত মেয়াদে এসএসসি ও এইচএসসি (ভোকেশনাল) কোর্স চালু করার জন্য ১৩টি নতুন ভিটিআই স্থাপন এবং বিদ্যমান ৫১টি ভিটিআই সংস্কার প্রকল্পের আওতায় ১৩ ক্যাটাগারিতে এক হাজার ৮৯৯টি পদ রাজস্বখাতে নিতে প্রস্তাবনা তৈরি করে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ। অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগে প্রস্তাবের সম্মতি চাওয়া হয়। এসব পদের মধ্যে এক হাজার ২৩৩টি পদ রাজস্বখাতে স্থানান্তরে সম্মতি দেয় অর্থ বিভাগ। ২০১০ সালের এই সিদ্ধান্তের আলোকে বাদ পড়ে ৬৬৬ জন প্রশিক্ষক ও কর্মকর্তা। এই বাদ পড়াদের রাজস্বখাতে নেওয়ার জন্য হাইকোর্টে রিট করেন প্রশিক্ষক ও কর্মকর্তারা। আদালতের রায়ে ৫ ক্যাটাগরির ১৬৬ জনকে রাজস্বখাতে নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। আদেশের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ের পক্ষে আপিল করার পর গত বছর আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখে।

উচ্চ আদালতের রায়ের পর ১৬৬ পদ রাজস্বখাতে স্থানান্তরে সম্মতি দেয় অর্থ বিভাগ। এরপর সম্প্রতি প্রস্তাবটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠায় কারিগরি ও মাদ্রসা শিক্ষা বিভাগ। সচিব মো. আলমগীরের পাঠানো প্রস্তাব গত মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটিতে উত্থাপন করা হয়। কমিটি প্রস্তাবের পক্ষে সুপারিশ করে।