সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নফাঁসের তৎপরতা চালালেই কঠোর ব্যবস্থা: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি (ফাইল ছবি)প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, ‘সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে প্রশ্নফাঁসের তৎপরতা চালালে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ রবিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সর্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা সুষ্ঠু, নকলমুক্ত পরিবেশে সম্পন্নের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রসঙ্গত, আগামী ২ নভেম্বর থেকে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা শুরু হয়ে ১১ নভেম্বর শেষ হবে।

বৈঠকের পর শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের তো ব্যাপার নয়, সেগুলোকে ব্যবহার করে যেন প্রশ্ন ফাঁসের মতো কোনও ঘটনা অপরাধী চক্র ঘটাতে না পারে, সে ব্যাপারে আমাদের সব গোয়েন্দা সংস্থার তীক্ষ্ণ নজরদারি রয়েছে। আমাদের সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। কাজেই যাকে ধরা হবে, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সহযোগিতায় এই বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা যেভাবে প্রশ্ন ফাঁস ও নকলমুক্ত পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করেছি, আশা করি, জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষাও একইভাবে সম্পন্ন করতে পারবো। অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানাবো, তারা যেন এই অনৈতিক প্রক্রিয়ায় কোনোভাবেই যুক্ত না হন।’

জাতীয় মনিটরিং ও আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে জানানো হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নফাঁসের গুজব কিংবা এ কাজে তৎপর চক্রের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জেলা প্রশাসন কঠো ব্যবস্থা নেবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘পরীক্ষা শুরুর আধাঘণ্টা আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে প্রশ্ন সেট খুলতে হবে। ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই হলে ঢুকতে হবে। পরে ঢুকলে নাম-রোল লিখে ওই দিন বোর্ডে পাঠাবে। একদিকে এক বিষয়ের প্রশ্ন, অন্যদিকে অন্য বিষয়ের প্রশ্ন, এতে দুই পরীক্ষার ক্ষতি। এছাড়া, আগের মতোই প্রশ্নবহন কাজে কালো কাচের গাড়ি ব্যবহার করা যাবে না। মোবাইলে একাধিকবার টাকা আদান-প্রদান করা হলে স্থানীয় থানায় জানতে হবে।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মুনশী শাহাবুদ্দীন আহমেদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদ ও আব্দুলল্লাহ আল হাসান, মাধ্যমিক ও  উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক প্রমুখ।