প্রশাসনের পরবর্তী পদক্ষেপ দেখে ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত নেবে বুয়েট শিক্ষার্থীরা

nonameআবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের স্থায়ী বহিষ্কারসহ তিন দাবি পূরণ হলে ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণের কথা জানায় আন্দোলনকারীরা। এরইমধ্যে বহিষ্কারের দাবি বাস্তবায়িত হয়েছে। বাকি দুটি দাবি পূরণে প্রশাসনের পরবর্তী পদক্ষেপ দেখে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে ফেরার বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত জানাবে আন্দোলনকারীরা।

আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা শাকিল আনোয়ার বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, তিনটি দাবি মেনে নিতে প্রশাসন তিন সপ্তাহ সময় চেয়েছে। এর মধ্যে একটি দাবির বাস্তবায়ন হয়েছে। বাকি দুই দাবির বিষয়ে প্রশাসনের পরবর্তী পদক্ষেপ দেখে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে ফেরার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বুয়েট শিক্ষার্থীদের তিন দাবির প্রথমটি ছিল- আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের স্থায়ী বহিষ্কার করা। দ্বিতীয়টি, আহসানুল্লা, তিতুমীর এবং সোহরাওয়ার্দী হলে র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তি বাস্তবায়ন করা আর তৃতীয় দাবি ছিলো, সাংগঠনিক ছাত্ররাজনীতি এবং র‍্যাগিংয়ের বিভিন্ন ক্যাটাগরির শাস্তির নীতিমালা প্রস্তুত করে সাধারণ ছাত্রদের নিয়ে প্রশাসনের আলোচনা,আলোচনার ভিত্তিতে বুয়েট অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল এবং সিন্ডিকেট থেকে অনুমোদিত হয়ে প্রস্তাবিত অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম অংশগ্রহণের তারিখের অন্তত ৭ দিন আগে মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। অর্থাৎ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাবিত নীতিমালা পাঠানোর আগ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে যা যা করা প্রয়োজন তার সব কিছু নিশ্চিত করা।

শিক্ষার্থীদের বাকি দুই দাবি পূরণের অগ্রগতি জানতে বুয়েটের ছাত্র কল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক মিজানুর রহমানকে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।