শতভাগ ঈদ বোনাস দাবি বেসরকারি শিক্ষকদের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলন (ফাইল ছবি)ঈদের আগেই বৈষম্য দূর করে শতভাগ ঈদ বোনাস দাবি করেছে বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক সমিতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরাম। শনিবার (২৫ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বেতন বৈষম্য দূর করে শতভাগ বোনাসের দাবি জানান শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের মুখপাত্র  নজরুল ইসলাম রনিও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মো. মেজবাহুল ইসলাম প্রিন্স।
এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষকদের ঈদ বোনাসের সঙ্গে এমপিওভুক্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ও সরকারি স্কুল কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বোনাস বৈষম্য তুলে ধরা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে বেতনের ২৫ শতাংশ ঈদ বোনাস পেয়ে আসছেন। অথচ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের দেওয়া হয় ৫০ শতাংশ বোনাস। আর সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা শতভাগ বোনাস পেয়ে আসছেন। এই বৈষম্য বিগত ১৬ বছরেও দূর করা হয়নি। তাই আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে ২৫ শতাংশের পরিবর্তে সরকারী নিয়মে ঈদ বোনাস দিতে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চেয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা।


বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০১৪ সালের ২২ জানুয়ারির এক প্রজ্ঞাপনে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা ২৫ শতাংশ এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা পান ৫০ শতাংশ ঈদ বোনাস। দীর্ঘ ১৬ বছরে এর কোনও পরিবর্তন নেই। এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা একই সিলেবাস এবং একই কারিকুলামে পাঠদান করলেও বোনাসের বেলায় বৈষম্য চলছে বছরের পর বছর। এমনকি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা টাকা বাড়ি ভাড়া পান এক হাজার টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা। আর পুরো জীবনে জীবনের একটিমাত্র টাইম স্কেল তাও বন্ধ।
বর্তমানে করোনার প্রভাবে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা গৃহবন্দী এবং তারা অর্থসংকটে আছেন। তাই আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগেই বৈষম্য দূর করে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের শতভাগ ঈদ বোনাস দিতে প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন শিক্ষক নেতারা।